হজ পালনকারীর জন্য ৩ কাজ ফরজ

দুনিয়ার মানুষকে উদ্দেশ্য করে আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দেন যে, ‘তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ ও ওমরাহ সম্পন্ন কর।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৯৬)

এ হজ পালনে যারা সামর্থ্য রাখে তাদের উদ্দেশ্য করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মানুষের মধ্যে থেকে যে/যারা কাবা শরিফ গমন করার সামর্থ্য রাখে, আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে তার ওপর হজ করা একান্ত কর্তব্য।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ৯৭)

যাদের ওপর হজ পালন করা ফরজ, তাদের জন্য হজের ৩টি কাজ যথাযথভাবে আদায় করা ফরজ বা আবশ্যক। যারা সঠিকভাবে এ হজ আদায় করবে তাদের ব্যাপারে হাদিসের ঘোষণা হলো- ‘তারা সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া নবজাতকের ন্যায় নিষ্পাপ জীবন লাভ করবে।’ অন্য হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে, তার শুভ পরিণাম হলো শুধুই জান্নাত।’

সুতরাং হজ পালনে ৩টি ফরজ কাজের প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দেয়া আবশ্যক। হজের ফরজ ৩টি কাজ হলো-

> হজের নিয়তে ইহরাম
যার যার বাসস্থান, রুম বা হোটেল থেকে হজের নিয়তে ইহরাম বাঁধা ফরজ। হজের নিয়তে দুখণ্ড সেলাইবিহীন কাপড় পরিধান করে একবার তালবিয়া পড়া শর্ত। অতঃপর বেশি বেশি তালবিয়া পড়া-

لَبَّيْكَ ا للّهُمَّ لَبَّيْكَ – لَبَّيْكَ لاَ شَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْكَ – اِنَّ الْحَمدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ – لاَ شَرِيْكَ لَكَ

‘লাব্বায়িকা আল্লাহুম্মা লাব্বায়িক; লাব্বায়িকা লা শারিকা লাকা লাব্বায়িক; ইন্নাল হামদা ওয়ান্ নিমাতা লাকা ওয়াল্ মুল্‌ক; লা শারিকা লাক’

‘আমি হাজির, হে আল্লাহ! আমি হাজির; আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, আমি হাজির; নিশ্চয়ই সব প্রশংসা ও নেয়ামত তোমারই; আর সাম্রাজ্যও তোমার, তোমার কোনো শরিক নেই’

আরও পড়ুন > হাজরে আসওয়াদ ও রোকনে ইয়ামেনি স্পর্শের ফজিলত

> আরাফাতের ময়দানে অবস্থান
৯ জিলহজ ফজর নামাজের পর থেকে সুর্যাস্তের আগে এক মুহূর্তের জন্য হলেও আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা ফরজ। যারা আরাফাতের ময়দানে পৌছতে পারবে না; তাদের হজ হবে না। কেননা আরাফাতের ময়দান সম্পর্কে বলা হয়েছে- ‘আলহাজ্জু আরাফা বা আরাফাতের ময়দানে অবস্থানই হজ।’

> তাওয়াফে জিয়ারত
১০ জিলহজ মিনায় কংকর নিক্ষেপ করে কুরবানি ও মাথা মুণ্ডন করার পর থেকে ১২ জিলহজ সুর্যাস্তের আগ পর্যন্ত যে কোনো সময় মক্কা এসে বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করা ফরজ।

আল্লাহ তাআলা ‍মুসলিম উম্মাহর সব হজ পালনকারীদেরকে যথাযথভাবে হজের ফরজ কাজগুলো আদায় করার তাওফিক দান করুন। সব হজ পালনকারীকে হজে মাবরুর নসিব করুন। আমিন।