শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় নিহতদের স্মরণ, জঙ্গি নির্মূলের প্রত্যয়

রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তারা। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিশিষ্টজনেরা শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। শ্রদ্ধা নিবেদন চলবে দুপুর দুইটা পর্যন্ত।

শনিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে হোলি আর্টিজানের ভেতরে যান জাপানের রাষ্ট্রদূত। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদনের কিছুক্ষণ পর তিনি চলে যান। ইতালির রাষ্ট্রদূতও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এছাড়া গুলশান থানা আওয়ামী লীগ, স্থানীয় আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মীরাও ৭৯ নম্বর সড়কে শ্রদ্ধা জানান।

হলি আর্টিজান বেকারিতে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

গত বছরের ১ জুলাই রাতে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালায় জঙ্গিরা। হামলায় দেশি-বিদেশি ২০ জনসহ দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। নিহতদের মধ্যে নয়জন ইতালির, সাতজন জাপানি ও একজন ভারতের নাগরিক। বাকি তিনজন বাংলাদেশি।

পরের দিন সকালে সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে ছয় জন নিহত হয়। আইএস এর পক্ষ থেকে এদের মধ্যে পাঁচজনকে তাদের ‘সৈনিক’ বলে দাবি করে, হামলার দায় নেয় তারা।

৭৯ নম্বর সড়কে যাওয়ার তিনটি পথেই ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। পুলিশের গাড়ি ও সীমিত কয়েকটি গাড়ি ছাড়া আর কোনো গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। সড়কের মোড়ে গণমাধ্যমকর্মীদের ভিড়। তবে তাদের ভেতরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।

গুলশানের কূটনৈতিক এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনরত পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি) মো. জসীমউদ্দিন বলেন, হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় নিহতদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত। জাপানি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে জাইকার প্রতিনিধিরাও ছিলেন। ইতালির রাষ্ট্রদূতও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তাদের দলের সঙ্গে নিহত একজনের স্বজন ছিলেন।