হামলার প্রতিবাদে অনশনে লতিফ সিদ্দিকী

নির্বাচনী প্রচারণার গাড়িবহরে হামলার প্রতিবাদে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী অনশন কর্মসূচি পালন করছেন।

রোববার সন্ধ্যা থেকে তিনি টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকতার অফিসের সামনে এই কর্মসূচি পালন করছেন।

সেখানে লতিফ সিদ্দিকী সামিয়ানা টানিয়ে লেপ-তোষক নিয়ে শুয়ে আছেন। একই স্থানে দুপুর ২টা থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তিনি।

এর আগে সকালে নির্বাচনী প্রচারণার সময় টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ি ইউনিয়নের সরাতৈলে লতিফ সিদ্দিকীর গাড়িবহরে হামলা ও ভাংচুর করা হয়। এতে অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হন। এ সময় বহরে থাকা চারটি গাড়ি ভাংচুর করা হয়।

এ ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে লতিফ সিদ্দিকী টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘রোববার সকালে কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ি ইউনিয়নে নির্বাচনী কাজে যাই। সরাতৈল এবং বল্লভবাড়ির মাঝামাঝি এলাকায় আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পরে বল্লভবাড়িতে গোহালিয়াবাড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মহির উদ্দিন তালুকদারের সঙ্গে কথা বলার সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বর্তমান সংসদ সদস্য হাসান ইমাম খানের ইন্ধনে হামলা চালায়।’

লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘স্থানীয় এমপি হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারীর চেলা গোহালিয়াবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী তালুকদারের নেতৃত্বে হামলাকারীরা চারটি গাড়ি ভাংচুর করে। এ সময় আমার ২০ নেতাকর্মী আহত হন।’

তিনি বলেন, ‘আমি হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। একইসঙ্গে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশের নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত অবস্থান ধর্মঘট চালিয়ে যাব।’

অবস্থান ধর্মঘটে লতিফ সিদ্দিকীর সঙ্গে কালিহাতীর বাংড়া ইউপি চেয়ারম্যান হাসমত আলীসহ তার বেশকিছু নেতাকর্মী ছিলেন।

পরে বিকেলে ৪টার দিকে জেলা প্রশাসক ও রিটানিং কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম এবং পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় ঘটনাস্থলে যান।

তারা ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কালিহাতী থানার ওসিকে প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবেন বলে জানান।

পরে এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে লতিফ সিদ্দিকী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত একটি অভিযোগ দেন।

জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’