হামাসকে সমর্থন দিতে পারবে না কাতার : সৌদি

সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের শর্ত হিসেবে কাতারকে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এবং মুসলিম ব্রাদারহুডকে সমর্থন দেয়া বন্ধ করতে হবে বলে জানিছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

‘সন্ত্রাসবাদে মদদ দেয়ার’ অভিযোগ এনে সোমবার কাতারের সঙ্গে সৌদি এবং তার মিত্র বাহরাইন, মিশর ও আরব আমিরাত কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন এবং স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

কাতারের রাষ্ট্র-পরিচালিত বার্তা সংস্থা হ্যাকের সূত্র ধরে কাতার ও আরব দেশগুলোর মধ্যে এ টানাপোড়েনের সৃষ্টি হয়। এ সংকটের কৃতিত্ব দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর কাতারকে বিচ্ছিন্ন করার ভূয়সী প্রশংসা করেছে ইসরাইল।

সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবাইর প্যারিসে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চাই সন্ত্রাসবাদে সমর্থন, নিজেদের বৈরী গণমাধ্যম ও অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের বিষয়ে কয়েক বছর আগে দেয়া প্রতিশ্রুতি কাতার বাস্তবায়ন করুক।’

তিনি বলেন, ‘কেউ কাতারকে আঘাত করতে চায় না। দেশটিকে ঠিক করতে হবে তারা কোন পথে যাবে। আমরা কষ্ট নিয়েই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি যাতে দেশটি অনুধাবন করে ওইসব নীতি টেকসই নয় এবং এটা পরিবর্তন করতে হবে।’

জুবাইর বলেন, ‘হামাস এবং মুসলিম ব্রাদারহুডকে সমর্থন দিয়ে কাতার ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং মিশরকে হেয় করছে। আমরা মনে করি এটা ভালো নয়। কাতারকে এই নীতি বন্ধ করতে হবে যাতে তারা মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতায় অবদান রাখতে পারে।’

তবে কাতারকে ঠিক এই মুহূর্তে কী করতে হবে এ বিষয়ে সরাসরি কোনো কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে তিনি বলেন, স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথ বন্ধ করে দেয়াসহ আরব দেশগুলোর নেয়া পদক্ষেপে কাতারকে চড়া মূল্য দিতে হবে।

তিনি বলেন, ‘সাধারণ বোধ-বুদ্ধি ও যুক্তি কাতারকে সঠিক পদক্ষেপ নিতে উদ্বুদ্ধ করবে। যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তা অনেক কঠিন এবং কাতারকে এর চড়া মূল্য দিতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি না, কাতার অব্যাহতভাবে এই মূল্য দিতে চাইবে।’

এদিকে হামাসকে কাতারের সমর্থন বন্ধে সৌদি আরবের এমন আহ্বানে ‘মর্মাহত’ হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা শাসন করা এই প্রতিরোধ আন্দোলন।

বুধবারের এই বিবৃতিতে হামাস বলেছে, জুবাইরের মন্তব্যে ফিলিস্তিনি জনগণ, আরব বিশ্ব এবং ইসলামি জাতিসমূহ মর্মাহত হয়েছে। তার এই বিবৃতি ব্যবহার করে ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের অধিকার আরো হরণ করবে।