হালদায় দূষণে মারা গেছে ২০ প্রজাতির মাছ!

হালদায় দূষণে মারা গেছে ২০ প্রজাতির মাছ। রুই-কাতলা-মৃগেল-কালবাউশ নামের চারটি প্রধান মাছ ছাড়াও ৫-৬ কেজি ওজনের আইড়, আড়াই কেজি ওজনের বামোস, চিংড়ি, চেউয়া, কুচিয়া, মরে ভেসে ওঠছে নদীতে। শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান হালদা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ড. মো. মনজুরুল কিবরীয়া।

মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র ও নিষিক্ত ডিম সংগহের একমাত্রস্থান হালদা নদীতে সাম্প্রতিক সময়ের ভয়াবহ দূষণ বিপর্যয়, কারণ চিহ্নিতকরণ এবং নদী রক্ষার উপায় জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি।

দখল-দূষণ থেকে হালদাকে রক্ষায় ১০টি সুপারিশ তুলে ধরা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

সুপারিশগুলো হলো— হাটহাজারী পিকিং পাওয়ার প্লান্টসহ অক্সিজেন থেকে কূলগাঁও পর্যন্ত শিল্প-কারখানায় ইটিপি স্থাপনে বাধ্য করা, এশিয়ান পেপার মিলসহ অন্য কারখানাগুলো ইটিপি ব্যবহারে বাধ্য করা, হাটহাজারীর নন্দীর হাটের ‘মরা ছড়া’ খালের বর্জ্য ডাম্পিং স্থায়ীভাবে বন্ধ করা, বিক্ষিপ্তভাবে গড়ে ওঠা অবৈধ পোল্ট্রি খামারগুলোর দূষণ রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) অনন্যা আবাসিক এলাকার ভরাট হয়ে যাওয়া বামনশাহী খাল পুনর্খনন করে আগে অবস্থানে ফিরিয়ে আনা, অনন্যা আবাসিকের মাস্টার ড্রেনেজ সিস্টেমকে বামনশাহী খাল ও কুয়াইশ খাল থেকে বিচ্ছিন্ন করা, অনন্যা আবাসিক এলাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এসটিবি স্থাপন, শিকারপুর ও মাদার্শা এলাকার ছোট খাল ও ছড়াগুলো খনন করে পানি প্রবাহ বাধামুক্ত করা, হালদাকে পরিবেশগত বিপন্ন এলাকা (ইসিএ) ও ‘জাতীয় নদী’ ঘোষণা এবং হালদা নদী ব্যবস্থাপনায় সমন্বয়ের জন্য হালদা নদী কমিশন গঠন করা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কমিটির উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাংবাদিক শামসুল হক হায়দরী, সহ-সভাপতি সাংবাদিক চৌধুরী ফরিদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাংবাদিক রেজা মোজাম্মেল ও আমিন মুন্না এবং ডিম সংগ্রহকারী কামাল উদ্দিন সওদাগর।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, চবি শিক্ষক আমেনা বেগ, হালদা রক্ষা কমিটির সদস্য আশু বড়ুয়া, দুলাল দাশ, শ্রীরাম জলদাস।