হাসপাতালের আইসিইউতে কিশোরীকে গণধর্ষণ

দিন দিন বাড়ছে যৌন নির্যাতন আর ধর্ষণের মতো ঘটনা। প্রাপ্তবয়স্ক থেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুসহ বৃদ্ধ নারীরাও পুরষের এই বিকৃত লালসার হাত থেকে বাঁচতে পারছেন না। রাস্তায় বা চলন্ত বাসে কিংবা কখনও বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েও নারীদের ওপর চালানো হয় নির্মম অত্যাচার। অনেক সময় ধর্ষণের পর মেরেও ফেলা হয়। কিন্তু এবার একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ-তে গণধর্ষণের শিকার হলেন এক কিশোরী ।

ভারতের উত্তর প্রদেশের ওই কিশোরীর মা-বাবা ছাড়া আর কেউ নেই। একদিন একাই বাড়িতে থাকা অবস্থায় তাকে একটি বিষধর সাপ ছোবল মারে। এরপর তাকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি করতে হয়।

সেখানেই চিকিৎসা চলছিল তার৷ সেই সুযোগে হাসপাতালের এক কর্মী ও আরও চার জন যুবক ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। এসময় কিশোরীর চিৎকার শুনে অন্যান্য রোগীরা সেখানে উপস্থিত হয়৷ পরিস্থিতি বুঝে হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যায় ওই পাঁচ যুবক।

এই ঘটনার পর থেকে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ওই কিশোরী। বাবা-মা ছাড়া অন্য কাউকে দেখলেই ভয় পাচ্ছে সে। আপাতত ওই হাসপাতালের জেনারেল ওয়ার্ডেই রাখা হয়েছে তাকে৷

এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে৷ মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে কিশোরীর জবানবন্দী নিয়েছে তারা। মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, অভিযুক্ত ওই পাঁচ যুবকের খোঁজ করছেন তারা। হাসপাতালে থাকা অবস্থায় কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ যদিও এ বিষয়ে এখনও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।