হাসিনার জন্য প্রস্তুত চুরুলিয়ার নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একই মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৬ মে চুরুলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণেই ওই অনুষ্ঠান হবে।

হাসিনার হাতে সাম্মানিক ‘ডি লিট’ তুলে দেবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী।

সমাবর্তন উৎসবের জন্য কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রস্তুতি প্রায় শেষ। প্রশাসনিক ভবনে প্রতিটি কক্ষের খোলনালচে পাল্টাচ্ছে। বাইরের মাঠে বড় ম্যারাপ বাঁধার কাজ চলছে।

প্রতিদিনই দফায়-দফায় আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট ও বাংলাদেশের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ঘুরে যাচ্ছেন। সোমবারও কয়েক দফায় পরিদর্শন করেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে নানা পরামর্শও দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী জানান, ২৬ মে বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ চাটার্ড বিমানে অণ্ডাল বিমানবন্দরে নামবেন শেখ হাসিনা। তাঁর সঙ্গে থাকবে প্রায় দেড়শো জনের একটি দল।

বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এরপর ২ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে হাসিনার কনভয় সকাল ১১টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছবে।

সেই অনুষ্ঠান মঞ্চে পৌঁছানোর কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়েরও। আগের রাতে আসানসোলে পৌঁছানোর কথা রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের।

উপাচার্য জানান, বেলা একটা পর্যন্ত সমাবর্তন অনুষ্ঠানে থাকার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তার পরে অণ্ডাল থেকে বিমানে কলকাতায় গিয়ে আরও দুটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা তার।

হাসিনার সঙ্গে সেই দিন বাংলাদেশের শিক্ষাবিদ ও জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, নজরুল গবেষক রফিকুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নানের থাকার কথা রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে হাসিনার সঙ্গে সাম্মানিক ডি-লিট দেওয়ার কথা ছিল অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরকেও। কিন্তু তিনি সেই দিন উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন।

১৯৯৯ সালের জানুয়ারিতে প্রথম বার আসানসোলে এসেছিলেন শেখ হাসিনা। সে বার চুরুলিয়ায় নজরুল ইসলামের জন্মভিটা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তিনি। তবে এ বার তাঁর আর চুরুলিয়ায় যাওয়ার পরিকল্পনা নেই।

নজরুল একাডেমির সাধারণ সম্পাদক কাজী রেজাউল করিম জানান, শেখ হাসিনাকে চুরুলিয়ায় নিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁরা প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছিলেন। তবে সময়ের অভাবে তা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন।

এ বার সমাবর্তনে প্রায় ৪৪০ জন পড়ুয়াকে প্রশংসাপত্র ও বিভিন্ন বিষয়ে প্রথম বিভাগে প্রথম হওয়ার জন্য ১৯ জনকে স্বর্ণপদক দেওয়া হবে।