‘হিজড়া’ পরিচয়েই ভোটার হওয়া যাবে

নারী বা পুরুষের পাশাপাশি কেউ চাইলে হিজড়া পরিচয়েও ভোটার হতে পারবেন, এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, এতদিন যে হিজড়া পুরুষদের পোশাক পরে তাকে পুরুষ এবং যে মহিলাদের পোশাক পরে তাকে মহিলা হিসেবে ভোটার করা হয়েছে। এখন থেকে তারা হিজড়া হিসেবে ভোটার হতে পারবেন। এটা কমিশনে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এ জন্য যুগ্ম-সচিব আইনকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি এ সংক্রান্ত আইন ও বিধি সংশোধন করে কমিশন সভায় উপস্থাপন করবেন। পরে কমিশন সেটি দেখে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করবেন।

সূত্র জানায়, সরকারের পক্ষ থেকে হিজড়া জনগোষ্ঠীককে স্বীকৃতি দেয়া হলেও ভোটার তালিকা আইন ও বিধিমালায় বিষয়টি না থাকায় এতোদিন এটি করা যায়নি। তাই কমিশন ভোটার তালিকা আইন-২০০৯ ও ভোটার তালিকা বিধিমালা-২০১২ সংশোধন করার উদ্যোগ নিচ্ছে।

২০১৩ সালের ১৩ নভেম্বর মন্ত্রিসভায় হিজড়াদের স্বীকৃতি বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। এরপর ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সমাজকল্যাণ মন্ত্রলায়ের সহকারী সচিব মো. মুখলেছুর রহমান খান স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘সরকার বাংলাদেশের হিজড়া জনগোষ্ঠীকে হিজড়া লিঙ্গ ( hijra) হিসেবে চিহ্নিত করিয়া স্বীকৃতি প্রদান করিল।’

এর আগে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন কমিশন ২০১৪ সালে ভোটার তালিকা নিবন্ধনের খসড়া ফরমে হিজড়া লিঙ্গটি যোগ করেছিলেন। কিন্তু ভোটার তালিকা আইন ও বিধিমালা সংশোধন না হওয়ায়, সেটি শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন করতে পারেননি তারা। এখন পর্যন্ত কেউ ভোটার হতে চাইলে তাকে নারী বা পুরুষ লিঙ্গ বেছে নিতে হয়।