হিন্দিভাষীদের ওপর হামলা, গুজরাট ছেড়ে পালাচ্ছে শত শত মানুষ

ভারতের গুজরাট রাজ্য ছেড়ে পালাচ্ছে শত শত মানুষ। বিহার ও উত্তরপ্রদেশ থেকে জীবিকার টানে নরেন্দ্র মোদির রাজ্যে আসা হিন্দিভাষীদের ওপর চলছে হামলা। এর পর থেকেই চোখে পড়ার মতো ভিড় স্টেশনগুলোতে।

কিন্তু হামলার কথা মেনেও রাজ্য পুলিশের ডিজি বলছে, ‘বহিরাগতরা উৎসবের মৌসুমে বাড়ি ফিরলে তার অন্য মানে করা উচিত নয়।’ তবে রাজ্য মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি বলছেন এর বিপরীত কথা।

তিনি বলেন, অন্য রাজ্যের হিন্দি ভাষাভাষীদের ওপর হামলার অভিযোগে চার শতাধিকজনকে আটক করা হয়েছে। সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বানও জানিয়েছেন রুপানি।

১৪ মাসের একটি শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে সবরকণ্ঠা জেলার হিম্মতনগরের কাছে গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিহারের এক বাসিন্দা গ্রেফতার হন। এর পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় হামলা শুরু হয়েছে হিন্দিভাষী বহিরাগতদের ওপর।

রাজ্য পুলিশের ডিজি শিবানন্দ ঝা বলেন, ‘ছয়টি জেলায় হিংসা ছড়িয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মেহসানা ও সবরকণ্ঠার।’ ডিজি জানান, গান্ধীনগর, পাটনা ও আহমেদাবাদেও হামলার অভিযোগ উঠেছে। এখন পর্যন্ত মামলা হয়েছে ৪২টি। সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানোর অভিযোগে দু’জনকে চিহ্নিত করেছে সাইবার ক্রাইম সেল। রাজ্য রিজার্ভ পুলিশের ১৭ কোম্পানি বাহিনী পাঠানো হয়েছে উপদ্রুত এলাকাগুলোতে।

অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় নেতাদের ক্রমাগত হুমকির জেরেই হিন্দিভাষীদের গুজরাট ছাড়ার হিড়িক পড়েছে। যাদের কোনো উপায় নেই, তাদের ঠিকানা আপাতত বন্ধু বা আত্মীয়দের ‘সুরক্ষিত’ আশ্রয়। ডিজি বলেছেন, ‘অফিসারদের নির্দেশ দিয়েছি দরকারে বাসস্ট্যান্ড ও স্টেশনে গিয়ে খতিয়ে দেখতে যে, ভয়ের চোটে কেউ পালাচ্ছেন কিনা। সে ক্ষেত্রে কথা বলে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।’

হিন্দিভাষীদের আক্রমণের ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে গুজরাটের ঠাকোর সম্প্রদায়ের দিকে। যদিও এ কথা উড়িয়ে দিয়েছেন ঠাকোর নেতা তথা কংগ্রেস বিধায়ক অল্পেশ ঠাকোর। শান্তি-সম্প্রীতির বার্তার পাশাপাশিই অল্পেশ হুমকি দিয়েছেন যে, তার সমর্থকদের ওপর থেকে মিথ্যা মামলা তোলা না হলে ১১ অক্টোবর থেকে অনশন শুরু করবেন তিনি।