হিরো আলমের যে বক্তব্য ভাইরাল

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়ে ইতোমধ্যে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আকস্মিকভাবে আলোচনায় উঠে আসা বগুড়ার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।

মূলত নিজের তৈরি বিভিন্ন মিউজিক ভিডিও দিয়ে আলোচনায় আসেন হিরো আলম। এ মিউজিক ভিডিওগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে সেগুলো নিয়ে ব্যাপক আকারে ট্রল হতে থাকে। এ থেকেই দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও পরিচিতি পেয়ে যান হিরো আলম।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কয়েক বছর ধরে ব্যাপক আলোচিত হিরো আলমের হঠাৎ করে রাজনীতিতে আসা এবং নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণায় নতুন করে এখন আলোচনায় তিনি।

তবে সম্প্রতি বেসরকারি একটি টেলিভিশনে হিরো আলমের দেয়া একটি সাক্ষাৎকার বেশ নজর কেড়েছে মানুষের। ওই সাক্ষাৎকারে হিরো আলমের দেয়া বক্তব্য শেয়ার করে এখন তার প্রশংসাও করছেন অনেকে।

কী বলেলেন হিরো আলম

হিরো আলমের মনোনয়ন ফরম কেনার খবর দেশের প্রতিটি গণমাধ্যমেই প্রচার হয়েছে। তার এই মনোনয়ন ফরম কেনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক হাসি-ঠাট্টা চলেছে।

এ বিষয়ে তিনি বলছেন, ‘অনেক স্টার-তারকা যদি বলেন আমি এমপি হবো, এইটা হবো, ওইটা হবো, তাদের নিয়ে কিন্তু কারো কোনো মাথা ব্যথা হয় না, হিরো আলম যদি কোনো পদে যায় তাহলে অনেক মানুষের কিন্তু মাথা ব্যথা বেড়ে যায়। হিরো আলম কেন এই পদে যাবে, হিরো আলমের কী আছে.. নেগেটিভ-পজেটিভ কিন্তু অনেক থাকেবেই.. কিন্তু তাদের কথা শুনলে তাহলে তো আমি এমপি হতে পারবো না.. আমি হিরোও হতে পারবো না।

নিজের দুর্বলতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি কিন্তু একটা দিকেই দুর্বল। আমার চেহারা নেই। আমি হয়তো দেখতে খারাপ। তাছাড়া বড় বড় ক্রিকেটাররা, বড় বড় শিল্পীরা, এই পর্যন্ত আসতে পারে.. তাদের চেহারা সুন্দর বলে এই পর্যন্ত আসতে পারে? আমার চেহারা সুন্দর কম দেখে আমি এই জায়গাতে আসতে পারি না? কিন্তু চেহারা সুন্দর হলে কী হবে তারা প্রতিভাটা দেখাক..

ওই সাক্ষাৎকারে আত্মবিশ্বাসের সাথে হিরো আলম বলেন, আমাকে হিরো আলম কে তৈরি করেছে? আমি নিজে নিজে তৈরি হয়েছি।

আক্ষেপের সুরে হিরো আলম বলেন, আমাকে যদি কেউ একজন ভালো করে অভিনয় শেখাতো তাহলে আমি ভালো করে অভিনয় শিখতাম, আমার যদি টাকা-পয়সা থাকতো, তাহলে কী করতাম? ভালো মতো আমি লেখাপড়া করতাম।

অর্থ-সম্পদ থাকলে লেখাপড়া শিখে শুদ্ধভাবে কথা বলতে পারতেন বলেও দাবি করেন হিরো আলম।

‘স্বপ্ন দেখা সহজ, বাস্তব করা অনেক কঠিন,’ এমন কথাও বলেন হিরো আলম।

হিরো আলমের রাজনীতিতে অংশগ্রহণকে অনেকেই ইতিবাচক হিসেবে দেখেছেন। তাদের বক্তব্য, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এমন সহজ-সরল মানুষের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। কারো কারো কাছে তার বক্তব্য খুবই সাবলীল এবং উপযোগী মনে হয়েছে৷

অন্যদিকে, কেউ কেউ বলেছেন, টেলিভিশন বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জনপ্রিয়তা দিয়ে রাজনীতি হয় না। একজন লিখেছেন, রাজনীতিতে সহজ-সরল মানুষের স্থান নেই।