হোয়াইটওয়াশের লজ্জাই পেতে হলো বাংলাদেশকে

বোলাররা তাদের কাজটা ঠিকভাবেই করেছেন। আফগানিস্তানকে বেঁধে ফেলে নাগালের মধ্যেই। লক্ষ্য ১৪৬ রান। সহজেই টাপকানোর কথা, এই রান তাড়া করে জয়ের দুয়ারে পৌঁছেও গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারেনি, সিরিজের তৃতীয় টি-টোন্টিতে নাটকীয়ভাবে এক রানে হেরে যায় লাল-সবুজের দল। তাই আফগানিস্তানের কাছে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পেতে হয় সাকিবদের।

ভারতের দেরাদুনে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে দলীয় ৫৪ রানে চার উইকেট হারিয়ে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। বিশেষ করে সৌম্য সরকার ও লিটন দাস দ্রুত রানআউট হয়ে ফিরে দলকে বিপদের মধ্যেই ফেলে দিয়েছিলেন। দলকে এই বিপদ থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিম।

পঞ্চম উইকেট জুটিতে মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিক ৮৪ রানের জুটি গড়ে শুধু দলের ব্যাটিং সামালও দিয়েছিলেন, কিন্তু পারেননি দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে। মাহমুদউল্লাহ ৪৫ ও মুশফিক ৪৬ রান করে ফিরেন।

অবশ্য ইনিংসের ১৯তম ওভারে মুশফিক পরপর পাঁচ বলে পাঁচটি চার মেরে দলকে দারুণ আশাবাদী করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারেননি। ১৪৪ রানে ইনিংস থেমে যায়।

এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করা আফগানিস্তান নিজেদের ইনিংসে সংগ্রহ করেছে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান। তিন পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামা বাংলাদেশ দলের বোলিংয়ের উদ্বোধনটা মেহেদী হাসান মিরাজকে দিয়েই করিয়েছিলেন অধিনায়ক সাকিব। তবে সেই ওভারেই শাহজাদ তুলে নেন ১৮ রান।

পরের চার ওভারে নাজমুল ইসলাম অপু, অধিনায়ক সাকিব আর আবু হায়দার রনি টেনে ধরেছিলেন আফগানদের রানের চাকা। রনির করা প্রথম ওভারে আঘাত পেয়ে একটু মন্থর হয়ে পড়া শাহজাদকে শেষমেশ ফিরিয়েছিলেন অপুই।

প্রথম টি-টোয়েন্টির বাজে বোলিংয়ে পরের ম্যাচে একাদশেই সুযোগ হয়নি আবু জায়েদের। তবে তৃতীয় ম্যাচে এসে দারুণ বল করে দুই উইকেট শিকার করেছেন ডানহাতি এই পেসার। প্রথম তিন ওভারে দারুণ মিতব্যয়ী থাকলেও শেষ ওভারে একটু খরুচেই ছিলেন আবু জায়েদ।

আরিফুল হক ফিরেই পেয়েছিলেন বোলিংয়ের সুযোগ। আফগান দলনায়ক আজগর স্ট্যানিকজাইকে ফিরিয়ে উইকেটও তুলে নিয়েছেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। সব মিলিয়ে এদিন বাংলাদেশের বোলিংটা হয়েছে দারুণ। তাই প্রতিপক্ষকে বেঁধে রাখতে পেরেছিল অল্প রানের মধ্যেই।