‘হয়রানি’ সত্ত্বেও বিপুল জনসমাগমের প্রত্যাশায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট

সরকারবিরোধী নতুন রাজনৈতিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রথম সমাবেশের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সংগঠনটি। ধারণা করা হচ্ছে সিলেটের রেজিস্ট্রারি মাঠ থেকে নতুন বার্তা দেবে ঐক্যফ্রন্ট।

জনসভার মঞ্চে টানানো ব্যানারে লেখা হয়েছে ‘অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, মাদার অব ডেমোক্রেসি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তি ৭ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এর উদ্যােগে জনসভা’।

জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন সংবিধান প্রণেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। প্রধান বক্তা, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সভাপতিত্ব করবেন সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। বক্তব্য রাখবেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ।

এরই মধ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে দুপুর ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত করার অনুমতি দিয়েছে সিলেট মহানগর পুলিশ।

জনসভায় যোগ দিতে মঙ্গলবার বিকেলে বিমানযোগে সিলেটে আসেন ড.কামাল হোসেন। এরপর রাত ৮টার সময় তিনি গণফোরামের নেতাদের নিয়ে শাহজালালের মাজার জিয়ার করেন।

একই বিমানে সিলেটে আসেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মুন্টু, নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা আওম শফিকউল্লাহ, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য সচিব আবম মোস্তফা আমিন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও গণস্বাস্থ্য সংস্থার ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

জনসভার প্রস্তুতি কার্যক্রম তদারকি করতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের মনিরুল হক চৌধুরী, সদস্য খন্দকার আবদুল মুক্তাদির, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা সুলতান মো. মনসুর আহমেদ সিলেটে অবস্থান করছেন।

সিলেটে সন্ধ্যায় পৌঁছেছেন আসম আবদুর রবের স্ত্রী তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, নাজিমউদ্দিন আলম প্রমূখ নেতারা রয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আসেন বুধবার সকালের একটি বিমানে করে সিলেটে আসেন। তিনি ভোরে এসেই ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের নিয়ে হযরত শাহজালাল এবং শাহ পরান (রা.) জিয়ারত করতে যান।

সিলেটের জনসভার কাজ সমন্বয়ের দায়িত্বে আছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ ও মোঃ শাহজাহান।

সমাবেশের সাফল্য নিয়ে সুলতান মনসুর বলেন, ২৩ অক্টোব প্রথমে সরকার জনসভার অনুমতি দেয়নি। ২৪ অক্টোবরও দিতে চায়নি। পরে হাইকোর্টে রিট করার পর অনুমতি দিতে বাধ্য হয়।

‘এরপর আমরা তড়িৎ প্রস্তুতি নিতে শুরু করি। এতে ক্ষমতাসীনরা পদে পদে বাধা দিচ্ছে। পুলিশ মাইকিং করতে দেয়নি মঙ্গলবার। ক্ষমতাসীনদের এমন বাধা-হয়রানি সত্ত্বেও বিপুল জনসমাগম হবে বলে আশা করছি। জনসভা সফল হবে।’