‘১০০ গ্রামের ওপর স্বর্ণালংকার আনলেই বাজেয়াপ্ত’

এখন থেকে সাধারণ মানুষ বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ ১০০ গ্রাম রেডিমেড স্বর্ণালংকার আনতে পারবেন। এর চেয়ে বেশি কেউ স্বর্ণালংকার আনলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে। তবে ব্যবসায়ীরা বিদেশ থেকে যেকোন পরিমাণ স্বর্ণালংকার আমদানি করতে পারবেন।

রোববার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে তিন দিনব্যাপী ‘স্বর্ণ মেলা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ মেলার উদ্বোধন করার কথা থাকলেও শারারিক অসুস্থতার জন্য উপস্থিত হতে পারেননি।

পরে এনবিআর চেয়ারম্যান মেলার উদ্বোধন করে বলেন, স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে পাঁচ লাখ টাকা ফি জমা দিতে হবে। এছাড়া লাইসেন্স তিন বছর পর নবায়ন করতে এক লাখ টাকা দিতে হবে।

তিনি বলেন, স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে মধ্যবিত্ত ব্যবসায়ীরা জড়িত নন। চোরাচালানে একটি বিশেষ গোষ্ঠী রয়েছে। যারা এখন আর সুবিধা করতে পারবেন না।

মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, তৈরি পোশাক ও চামড়া শিল্পের মতো যারা স্বর্ণের কাঁচামাল রফতানির উদ্দেশে আমদানি করবে তাদের বন্ড সুবিধা দেয়া হবে। যারা বন্ড সুবিধা পাবেন তাদের আমদানি করা সব স্বর্ণালংকার বিদেশে রফতানি করতে হবে। বন্ড সুবিধায় আনা স্বর্ণ খোলাবাজারে বিক্রি করা যাবে না

জানা গেছে, ঢাকা ও চট্টগ্রামে তিন দিনব্যাপী মেলা চলবে। এছাড়া দেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহরে মেলা চলবে দুই দিন।

মেলায় প্রতি ভরি সোনা ও সোনার অলংকারে ১ হাজার টাকা কর দিয়ে বৈধ করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া প্রতি ভরি হীরায় ৬ হাজার টাকা ও রুপায় ৫০ টাকা কর দিয়ে বৈধ করার সুযোগ থাকছে।

এনবিআর সদস্য (আয়কর) কানন কুমার রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সভাপতি গঙ্গাচরণ মালাকার, সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগারওয়ালাসহ স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও রাজস্ব কর্মকর্তারা।