১০ বছরের শিশু গৃহকর্মীকে নির্মমভাবে নির্যাতন

বরিশালে ১০ বছরের এক শিশু গৃহকর্মীকে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর অবস্থায় শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত গৃহবধূকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক রয়েছে গৃহকর্তা আশরাফুল ইসলাম।

নির্মম নির্যাতনের শিকার এই শিশুটির নাম লামিয়া আক্তার মরিয়ম। বয়স মাত্র ১০ বছর। মা মারা গেছে আগেই। বাবা একজন রিকশা চালক। অভাবের তাড়নায় ৬ মাস আগে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ নেয় বরিশাল নগরীর মদীনা সড়কের আশরাফুল ইসলামের বাড়িতে। পান থেকে চুন খসলেই তার ওপর চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন। সবশেষ সোমবার রাতে নির্যাতনের বিষয়টি জানতে পেরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত গৃহবধূ শারমিন আক্তারকে।

শিশু লামিয়া আক্তার জানায়, কথা শুনে নাই, কাজে ভুল হয়েছে। তারা দুজনে আমাকে মারছে। দেওয়ালের সাথে ধাক্কা দিতো। বেলুন দিয়ে মাথায় আঘাত করতো।

অভিযুক্ত শারমিন আক্তার বলেন, আমি প্রতিবারেই ওকে মারতাম আর খারাপ লাক-তো। পরে আমি ওর কাছে ক্ষমা চাইতাম। এবং প্রতিবারেই ওরে বলতাম, মা তুই আমারে ক্ষমা করে দেয়।

এদিকে, লামিয়ার চিকিৎসায় সবধরনের সহায়তার কথা জানিয়েছেন বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক পরিচালক মো. রাকিব হোসেন। তিনি বলেন, শিশু নির্যাতনের বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। সারা শরীরে আঘাতের ছিন্ন রয়েছে। বিশেষ করে মাথা থেকে মাথা পর্যন্ত ঘাঁড়ে চোখে, মাথায় আঘাতের ছিন্ন রয়েছে। এবং সিটি স্ক্যান থেকে শুরু করে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। এ ছাড়া তার আইন সহায়তা থেকে শুরু করে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

বরিশালের মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. নাসির উদ্দিন মল্লিক, আটকের পর তার বিরুদ্ধে মানব পাচার এবং শিশু আইনে মামলা করা হয়েছে। এবং তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

নির্যাতিত লামিয়া আক্তার ময়রিয়মের বাড়ি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোড়া গ্রামে।