১২টি স্থল বন্দর নির্মাণ হলেও ব্যবহার হচ্ছে নামমাত্র

আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য সহজ ও গতিশীল করতে সরকার ১২টি স্থল বন্দর নির্মাণ করলেও কয়েকটি ছাড়া বাকীগুলোর ব্যবহার সন্তোষজনক নয়। এতে বেনাপোল বন্দরের ওপর চাপ বেশি পড়ায় পণ্য খালাসে খরচ বাড়ছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ,অবকাঠামো সমস্যার পাশাপাশি নির্দিষ্ট পণ্য আমদানি -রপ্তানির বাধ্যবাধকতা থাকায় অনেক স্থল বন্দরই তারা ব্যবহার করতে পারছে না। এছাড়া রাজনৈতিক বিবেচনায় কিছু স্থলবন্দর নির্মিত হলেও ব্যবহার হচ্ছে নামমাত্র।

বাংলাদেশের তিন দিকেই ভারতের অবস্থান। চীনের পর প্রতিবেশী এই ‌দেশটি থেকে সবচেয়ে বেশি পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। স্থলপথে ভারত সহ অন্যান্য প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালাতে পর্যায়ক্রমে ১২টি স্থলবন্দর গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে টেকনাফ ছাড়া ১১টি স্থলবন্দর দিয়ে বাণিজ্য হয় ভারতের সাথে। আর সবচেয়ে বেশি পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয় বেনাপোল দিয়ে। ফলে ট্রাক জটের কারণে পণ্য খালাসে দেরি হয়। আর বুড়িমারী, ভোমরা, হিলি ও তামাবিল স্থল বন্দর দিয়ে বেশ কিছু পণ্য আমদানি-রফতানি হলেও নানা সীমাবদ্ধতার কারণে অধিকাংশই সক্ষমতা অনুযায়ী ব্যবহার হচ্ছেনা।

ইন্দো বাংলাদেশ চেম্বারের সভাপতি মাতলুব আহমাদ বলেন, ‘বেনাপোল থেকে আমি কতগুলো পণ্য আনতে পারবো কিন্তু আমি যদি হলি থেকে পণ্য নিয়ে আসি তাহলে খুব বেশি আনতে পারবো না। এই যে সীমাবদ্ধতার কারণে আমরা ল্যান্ডপোর্ট ব্যবহার করতে পারছি না। ল্যান্ডপোর্ট তৈরি হয়েছে অথচ ওয়ার হাউজ নাই। কিংবা কাস্টম অফিসারদের বসার জায়গা নাই। ব্যাংক নেই। বেনাপোল এজন্য ওভার ব্যবহার হচ্ছে। আমরা যারা ইনপোর্ট করছি তাদের খরচ বেড়ে যাচ্ছে।’

ব্যবহারকারীরা বলছেন, কুমিল্লার বিবিরবাজার ও শেরপুরের নাকুগাঁও স্থল বন্দরের মতো রাজনৈতিক বিবেচনায় কিছু স্থলবন্দর নির্মিত হয়েছে। যেগুলো ব্যবহার হচ্ছে নামমাত্র।

তবে স্থলবন্দরগুলো আধুনিকায়নের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের সুবিধা অনুযায়ী পণ্য আমদানির অনুমোদন দিতে এনবিআরকে সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানান কর্তৃপক্ষ।

স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন চক্রবর্তী বলেন, ‘এনবিআরকে আমরা সব সময় অনুরোধ করি ব্যবসায়ীদের সুযোগ সুবিধা বিবেচনা করে অনুমোদন যেনো দেই। তারা মাঝে মাঝে এগুলো যাচাই করে এবং অনুমোদন দেয়ও।’

১২টি স্থল বন্দরের মধ্যে নিজস্ব তত্ত্বাবাধানে ৭টি ও বেসরকারিভাবে পরিচালিত হয় ৫টি। এসব স্থলবন্দর থেকে বছরে ১৪৮ কোটি টাকা মাশুল পায় স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ।