১২ বলেই বাজিমাত মোসাদ্দেকের

এভাবেও ম্যাচের গতি বদলে দেওয়া যায়!

তিন শর দিকে ছুটছিল নিউজিল্যান্ড। হঠাৎ বল হাতে নিলেন মোসাদ্দেক হোসেন। দৃশ্যত নিরীহ অফ স্পিনেই ধস নামালেন কিউই ইনিংসে। ১২ বলের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের বড় স্কোরের স্বপ্ন শেষ করে দিলেন মোসাদ্দেক। এর মধ্যেই নিউজিল্যান্ড হারাল ৩ উইকেট!

জাদু? হতেও পারে। কিন্তু সেটা কার? মোসাদ্দেকের, নাকি ওই সময়ে অমন সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়া মাশরাফি বিন মুর্তজার?

মোসাদ্দেকের হাতে বল দেখে একটু হলেও চমকে গেছেন সবাই। জাতীয় দলে নিয়মিত বোলিং করেন এই অলরাউন্ডার। তবু আজ ৪১ ওভার পর্যন্ত যখন বল হাতে পাননি, স্লগ ওভারে যে তাঁকে আনা হবে, ভাবাটা একটু কঠিন ছিল। নিউজিল্যান্ড যখন মারমুখী, সে সময় একজন স্পিনার আনার মধ্যে ঝুঁকিও আছে। কিন্তু মাশরাফি বাজিটা ধরলেন। আর জিতলেন জ্যাকপট!

৪২তম ওভারে খুব চমক দেখাননি মোসাদ্দেক। মাত্র ৫ রান দিয়েছেন, এতেই সবাই সন্তুষ্ট। আসল চমক দেখালেন পরের ওভারে। ৪৪তম ওভারের প্রথম বলে আউট দুর্দান্ত খেলতে থাকা নিল ব্রুম। এক বল পর গোল্ডেন ডাক নিয়ে ফিরেছেন কোরি অ্যান্ডারসন। অ্যান্ডারসন এলবিডব্লিউ হতেই খানিক আগেও ৪ উইকেটে ২২৮ থেকে স্কোরকার্ড রূপ নিল ২২৯/৬-এ!

তবু কাঁটা হয়েছিলেন জিমি নিশাম। বলপ্রতি রান নিয়ে শেষের ঝড় তোলার অপেক্ষায় ছিলেন। সে কাঁটাও দূর করার দায়িত্ব নিলেন মোসাদ্দেক। নিজের ৩ ওভারের ছোট স্পেলের শেষ বলে স্টাম্পড করলেন নিশামকে। নিউজিল্যান্ডের বড় স্কোরের স্বপ্নটাও শেষ হয়ে গেল। ১৩ রানে তিন উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার শেষ পর্যন্ত মোসাদ্দেক!

অথচ আজ মনে হচ্ছিল, কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। সাকিব আল হাসান কিংবা মোস্তাফিজুর রহমানের বোলিংও যখন হতাশা ছড়াচ্ছিল, সেদিন মোসাদ্দেকের ৩ ওভারেই সব বদলে গেল। এ কারণেই শেষ দশ ওভারে ৬ উইকেট হাতে নিয়েও মাত্র ৬২ রান করতে পারল নিউজিল্যান্ড। শেষ ওভারগুলোতে আর তাঁকে না ডাকলেও মোসাদ্দেকের ছায়া থাকলই। মোস্তাফিজ-রুবেলরা করলেন উজ্জীবিত বোলিং। তাতেই নিউজিল্যান্ড থমকে গেল।

মোসাদ্দেক এলেন, মাত্র তিন ওভার বোলিং করে চলেও গেলেন। এর মধ্যেই কি অবিশ্বাস্যভাবে বদলে গেল সব!