১২ হাজার কিলোমিটার গতির হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা যুক্তরাষ্ট্রের!

যুক্তরাষ্ট্র এমন এক হাইপারসোনিক এয়ারক্রাফ্ট মিসাইল পরীক্ষা করছে যা সেকেন্ডে এক মাইল পর্যন্ত উড়তে সক্ষম। আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়া দুই দেশ যৌথভাবে এই মিসাইল পরীক্ষায় এগিয়ে এসেছে।

এ হাইপারসোনিক মিসাইলের গতি শব্দের গতিবেগের থেকে ৫গুণ বেশি। এর গতি প্রতি ঘন্টায় ৬,২০০ থেকে ১২,৩৯১কিলোমিটারের মধ্যে। X-51A ওয়েবরাইডার নামের এই মিসাইলকে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে এর গতি বেড়ে ১২,৩৯১কিলোমিটার হয়েছে প্রতি ঘন্টায়।

হাইপারসোনিক ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট রিসার্চ এক্সপেরিমেন্টশন নাম রাখা হয়েছে এই প্রোগ্রামের। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার বুমেরা পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে এখনও পর্যন্ত হাইপারসোনিকের সফল পরীক্ষার কথাই জানা গেছে। গত ১২জুলাই এই পরীক্ষার বিষয়টি সম্পূর্ণ হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মরিস পেন এই বিষয়ে জানান, অস্ট্রেলিয়ার BAE সিস্টেমের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই হাইপারসোনিকের পরীক্ষা সফল হয়েছে। পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে যে, এখনও পর্যন্ত যতগুলি পরীক্ষা হয়েছে তার মধ্যে এই হাইপারসোনিকের পরীক্ষা সবথেকে জটিল ছিল।

আমেরিকার বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে জেনারেল জন হেটন জানান, চীন এবং রাশিয়ার হাইপারসোনিক মিসাইল উত্তরোত্তর চিন্তা বাড়িয়ে তুলছে। তাই চীন-রাশিয়ার কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকটি আরও শক্তিশালী করে তুলতে হবে, পাশাপাশি এই হাইপারসোনিককে আরও উন্নত করে তুলতে হবে।

বহু ব্যালিস্টিক মিসাইল এই হাইপারসোনিকের থেকেও বেশি গতিবেগের হয়ে থাকে। কিন্তু সেসব ব্যালিস্টিক মিসাইলের গতিপথ উপগ্রহের মাধ্যমে নজরবন্দি করা যায়। আমেরিকার কাছে এমন ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে যা এই সব মিসাইলকে মাঝপথেই ধ্বংস করে দিতে পারে। তাই এর থেকে হাইপারসোনিক মিসাইল বেশিই কার্যকরী, কারণ এদের ট্র্যাক করা যায়না। শুধু তাই নয়, এই সব হাইপারসোনিক মিসাইল মাঝপথ থেকে তার গতিপথও পরিবর্তন করতে সক্ষম।

সূত্র: কলকাতা টোয়েন্টিফোর