১৪ ঘণ্টায় গোদাগাড়ীতে সড়কে প্রাণ গেল ৮ জনের

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ভেতর দিয়ে চলে যাওয়া রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাড়কের বিভিন্ন স্থানে ১৪ ঘণ্টায় প্রাণ গেল আটজনের। রোববার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে প্রথম দুর্ঘটনা ঘটে। এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে, বিকেল চারটার দিকে আর শেষ দুর্ঘটনাটি ঘটে রাত সাড়ে ১২টায়।

রাতের দুর্ঘটনাটি সম্পর্কে স্থানীয় লোকজন জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী দুটি ট্রাক গোদাগাড়ী কলেজের পলাশের সেতুর ওপর উঠে। এই সময় এক পথচারী রাস্তা পার হচ্ছিলেন। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। পথচারী ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনার পর রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের ওই অংশ দিয়ে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীরনগর আলো বলেন, দুর্ঘটনাস্থলের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ঘটনার ছয় ঘণ্টা পর এই মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এ দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ পরই উপজেলার সারাংপুর মসজিদের কাছে মহাসড়কে আমভর্তি একটি ট্রাকের চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ট্রাকটি রাস্তার পাশে উল্টে যায়। এতে চালক ও তাঁর সহকারী আহত হয়েছেন।

গতকাল রোববার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে মহাসড়কের পাশে রেলগেট বাজারে মাংস বিক্রির একটি দোকানে ঢুকে পড়ে ট্রাক। এতে চাপা পড়ে মাংস বিক্রেতা জসিম উদ্দিন (২০) ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত হন আরও কয়েকজন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

দ্বিতীয় দুর্ঘটনাটি ঘটে গোদাগাড়ীর ছয়ঘাটি এলাকায় রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। রাজশাহীগামী একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয় ট্রাক। এতে মোটরসাইকেলে খুশবু তাজনিম (১৪) ও এমদাদ হোসেন (৫০) নিহত হন। তাঁদের বাড়ি গোদাগাড়ী উপজেলার ফরাদপুর গ্রামে।

আর অপর দুর্ঘটনাটি ঘটে রোববার বিকেল চারটার দিকে। উপজেলার রেলগেট বাইপাসে যাত্রীবাহী মিনিবাস ও মাইক্রোবাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন খাদিজাতুল কোবরা কেয়া (৩৫), তাঁর ছেলে আহনাব (৬) ও মেয়ে রাইসা খাতুন (৩) এবং মাইক্রোবাসের চালক পুলক (৩৫)। খাদিজাতুল কোবরা চাঁপাইনবাবগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আলমগীর হোসেনের স্ত্রী। ছেলেমেয়েসহ খাদিজাতুল মাইক্রোবাসে ছিলেন।