১৪ বাংলাদেশি যাত্রী জীবিত, ভিডিওবার্তায় প্রধানমন্ত্রী

সিঙ্গাপুর থেকে এক ভিডিওবার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, নেপালে দুর্ঘটনায় পড়া বিমানের ১৪ জন বাংলাদেশি এখনও বেঁচে আছেন। তাদেরকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা এবং চিকিৎসার জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবই নিয়েছে সরকার।

সোমবার নেপালের স্থানয় সময় দুইটা ২০ মিনিটে বেসরকারি এয়ারলাইন্স ইউএস বাংলার একটি বিমান সে দেশের ত্রিভূবন বিমানবন্দনে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে বিধ্বস্ত হয়। বিমানটির অন্তত ৫০ জন যাত্রী নিহত হয়েছে বলে নেপালি কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

এই বিমানে যে ৬৭ জন যাত্রী ছিলেন তাদের মধ্যে ৩২ জন বাংলাদেশি। এর বাইরে দুইজন পাইলটও বাংলাদেশের। যাদের মধ্যে একজন নিহত হয়েছেন।

রবিবার প্রধানমন্ত্রী চার দিনের সফরে সিঙ্গাপুর গিয়েছেন। এই দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় সাতটা ৫০ মিনিটে তিনি নেপালের প্রধানমন্ত্রী খাদগা প্রসাদ শর্মা অলির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন।

এরপর রাতে সিঙ্গাপুর থেকে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী এই দুর্ঘটনার জন্য দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘৭১ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে যার মধ্যে ৩৩ জনেরই ধারণা করা হচ্ছে যে বেঁচে নেই। ১৪ জন বাংলাদেশি এবং চার জন নেপালি বেঁচে আছেন বলে এই পর্যন্ত আমরা খবর পেয়েছি। তারা যথেষ্ট দুর্ঘটনায় পড়ে আহত।’

নেপালের প্রায় পাঁচটা হাসপাতালে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

নেপালে উদ্ধারকারী দল পাঠাতে একটি বিমান তৈরি আছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। জানান, চিকিৎসক এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ বিমানটি নেপালের বিমানবন্দর খুললেই রওয়ানা দেবে। জানান, বাংলাদশের চিকিৎসকরা যতক্ষণ দেশটিতে যেতে না পারবেন, তারা টেলিফোনে বা ভিডিও কনফারেন্সে সহযোগিতা দেবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখনই আমাদের পক্ষে সুযোগ হবে সাথে সাথে আমারা টিম পাঠাব এবং যাদেরকে নিয়ে আসা সম্ভব হয়, আমরা সবাইকে নিয়ে আসব, এই ব্যবস্থাটা আমরা নিয়েছি।’

‘যা যা প্রয়োজনীয় আমরা তা করব এবং নেপালের প্রধানমন্ত্রীকেও আমি এটা বলেছি যে, উদ্ধারকাজ বা চিকিৎসা-এ ব্যাপারে যা যা সহযোগিতা দরকার, বাংলাদেশ পাশে আছে। আমরা থাকব।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা মারা গেছেন, তাদের প্রতি আমার শোক জানাচ্ছি। এবং যারা এখনও জীবিত আছেন এবং যাদের চিকিৎসা প্রয়োজন তাদের চিকিৎসা এবং যা যা প্রয়োজন সব করতে আমরা প্রস্তুত।’

বাংলাদেশের তিন বাহিনীর প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের প্রতিটি কর্মকর্তা এই দুর্ঘটনার বিষয়ে খোঁজ খবর রাখছেন বলেও জানান শেখ হাসিনা।

আগুনে পুড়ে যাওয়য় নিহতদের অনেককে শনাক্ত করা কঠিন হবে বলেও মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী।

এই দুর্ঘটনার কারণে সিঙ্গাপুর সফর সংক্ষিপ্ত করে প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার দেশ ফিরছেন। গত রবিবার তিনি চার দিনের সফরে দেশটিতে গিয়েছিলেন। সফরসূচি অনুযায়ী বুধবার দেশে ফেরার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর।

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন