১৮ বছরেও নিষ্পত্তি হয়নি রমনা বটমূলের হত্যা মামলা

১৮ বছরেও চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি রমনার বটমূলের বোমা হামলার ঘটনায় করা হত্যা মামলাটি। ঘটনার ১৩ বছর পর নিম্ন আদালতে মামলাটির রায় হলেও হাইকোর্টে আটকে আছে ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি। এছাড়া সাক্ষী হাজির করতে না পারায় বিচারের অপেক্ষায় নিম্ন আদালতে ঝুলে আছে বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলাটি। তবে প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপে দ্রুত ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শুরু হবে আশাবাদ অ্যাটর্নি জেনারেলের।

২০০১ সালে রমনার বটমূলে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে বিস্ফোরিত হয় শক্তিশালী বোমা। ঘটনাস্থলেই ৭ জন ও পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরও ৩ জন। ঘটনার দিন হত্যা ও বিস্ফোরণ আইনে রমনা থানায় ২টি মামলা করে পুলিশ।

দীর্ঘ ১৩ বছর পর ২০১৪ সালে বিচার শেষে হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নানসহ ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। মামলায় ৯ আসামি কারাগারে এবং ৪ আসামি এখনও পলাতক রয়েছে। এছাড়া ২০১৭ সালে অপর এক মামলায় মুফতি হান্নানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তবে নিম্ন আদালতের রায়ের প্রায় ৫ বছর পরও উচ্চ আদালতে মামলাটির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস বলেন, নৃশংস ওই হামলায় সাধারণ অনেক মানুষের প্রাণ আমরা হারিয়েছি। দুঃখজনক হলেও এত বছর পরও এর বিচারিক প্রক্রিয়াই এখনও শুরু হয়নি।

আসামিপক্ষের আইনজীবীর অভিযোগ, রাষ্ট্রপক্ষ সঠিক সময়ে সাক্ষী হাজির করতে না পারায় ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন আসামিরা।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ নানা অজুহাতে বিচারিক প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করছে।

হত্যা মামলাটি উচ্চ আদালতে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করতে প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করেন অ্যাটর্নি জেনারেল।

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, আবার এর শুনানি শুরু করার ব্যাপারে প্রধান বিচারপতির গোচরে বিষয়টি আমি আনব।

বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় মোট ৮৪ আসামির মধ্যে এ পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে মাত্র ২৫ জনের।