২০১৮ বার পানিতে ডুবে ২০১৮ সাল বরণ করলেন তিনি!

এবার নতুন বছর বরণের উচ্ছ্বাস দেখা গেছে বিশ্বের নানা প্রান্তে। জমকালো আয়োজনে নববর্ষ বরণ করেছে বিশ্ববাসী। তবে নতুন বছর ২০১৮ সালকে বরণ করতে গিয়ে অদ্ভূত এক কাণ্ড করে বসেছেন ভারতের এক তরুণ।

পশ্চিমবঙ্গের ওই তরুণ ২০১৮ সালকে বরণ করে নিয়েছেন হীম-শীতল পানিতে টানা ২০১৮ বার ডুব দিয়ে। ভারতীয় এক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, মকর সংক্রান্তির পূণ্যলগ্নে গঙ্গাসাগরে কয়েক লক্ষ পূণ্যার্থীর ডুব দেয়ার আগেই বিষ্ণুপুরের লালবাঁধের ঠান্ডা পানিতে ২০১৮ বার ডুব দিয়ে বর্ষবরণ করেছেন সদানন্দ দত্ত।

ইংরেজি বছরকে স্বাগত জানাতেই বিষ্ণুপুরে সদানন্দ এই ম্যারাথন ডুব দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এ ঘটনায় শোরগোল পড়েছে জেলা জুড়ে। তবে এবছরই প্রথম নয় এর আগেও এমন কাজ করেছেন সদানন্দ। নতুন বছর শুরুর প্রথম দিনে শীত উপেক্ষা করে কনকনে ঠান্ডা পানিতে তার ডুব দেয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের বেশ কয়েকটি জেলায়।

সদানন্দের ডুব দেখতে প্রতি বছরের মতো এবছরও এলাকার বহুমানুষ লালবাঁধের ধারে ভিড় জমিয়েছিলেন। নতুন বছরের শুরুতে শীতের নরম রোদ গায়ে নিয়ে একেবারে পেশাদার সাঁতারুর মতোই ২০১৮ বার ডুব দেন তিনি। উপর্যুপরি দুই হাজার ১৮ বার ডুব দেয়া উপভোগ করেন মন্দির নগরীতে আগত পর্যটকরা।

কিন্তু কেন এই উদ্যোগ? সদানন্দের ভাষ্য, ‘নতুন বছরের শুরুতে কনকনে ঠান্ডা পানিতে ডুব দেয়ার মাধ্যমে এখানে আগত পর্যটক এবং বিষ্ণুপুরবাসীকে অনাবিল আনন্দ দিতেই আমার এই প্রচেষ্টা। এতে নতুন বছরের শুরুতেই মল্লরাজাদের ঐতিহাসিক লালবাঁধের পাড়ে লোক সমাগম হয়।’

ইতিহাস বলছে, সপ্তদশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে এই বাঁধের খনন হয়েছিল। ‘লালবাঁধে’ মল্লরাজা দ্বিতীয় রঘুনাথ সিংহের নর্তকী লালবাঈকে ষড়যন্ত্র করে খুন করেছিলেন রানি। বিষ্ণুপুর পৌরসভার উপপুরপ্রধান বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘এই তরুণ বিষ্ণুপুর পর্যটনে নতুন পালক। সদানন্দ বাংলার গৌরব। নতুন বছরের শুরুতে বিষ্ণুপুরে পর্যটকদের কাছে সদানন্দের ডুব এক বড় চমক।’