২০১৯-২০ অর্থবছরে দুই স্তরের ভ্যাট কার্যকর : অর্থমন্ত্রী

আগামী ২০১৯-২০২০ অর্থবছর থেকে দুই স্তরের ভ্যাট ব্যবস্থা কার্যকর করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি একথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ২০১৯-২০২০ অর্থবছর থেকে দুই স্তরের ভ্যাট ব্যবস্থা কার্যকর করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। আসন্ন অর্থবছরের বাজেটে করপোরেট করহার কমানোর বিষয় বিবেচনা করা হচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, দেশে তরুণ করদাতার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে যা আশাব্যঞ্জক।

মুহিত জানান, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথিউরিটি (বিডা) ‘ওয়ান স্টপ’ সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে বিনিয়োগ প্রস্তাব জামা দেয়ার সাত মাসের মধ্যে বিনিয়োগ সহায়তা প্রদান করা যাবে।

তিনি বলেন, সঞ্চয়পত্রের সুদের হার বিষয়টি আগামী বাজেটে ঘোষণার পর পর্যালোচনা করা হবে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জা মো. আজিজুল ইসলাম বাংলাদেশের অবকাঠমোখাতের উন্নয়ন কার্যক্রম আরও গতিশীল এবং উন্নয়ন কাজের গুণগতমান নিশ্চিতকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের কাজ সম্পন্ন হওয়ার অল্পদিনের মধ্যেই তা সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, যার ফলে সরকারের টাকার অপচয়ের পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নতি ব্যাহত হচ্ছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়া বলেন, আগামী বাজেটে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি কৃষি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী, অবকাঠামোখাতের উন্নয়নে অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে।

তিনি জানান, আমদানিকৃত এলএনজির সঙ্গে দেশীয় গ্যাসের সংমিশ্রন করার মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে প্রদান করা এবং এলএনজির দাম যেন সহনীয় মাত্রায় থাকে সে বিষয়ে সরকার সচেতন রয়েছে।

উদ্বোধনী বক্তব্যে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি-ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান আগামী বাজেটে করনীতির সহজ করার পাশাপাশি অন্যান্য নীতিমালার সংস্কার, বিদ্যমান করহার হ্রাস, ট্যাক্স কার্ড প্রদান, ব্যবসায় ব্যয় হ্রাস, বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়ানো, যোগাযোগ অবকাঠামোর আধুনিকায়ন এবং নিডমা প্লাটফর্ম প্রবর্তনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।