২১ সদস্যের বিএনপির বিদেশবিষয়ক কমিটিতে আছেন যারা

বিদেশবিষয়ক কমিটি (ফরেন অ্যাফেয়ার্স) পুনর্গঠন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। ২১ সদস্যের এই কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে।

নতুন কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নবগঠিত ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য দলের মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ। তিনি বলেন, আমি চিঠি পেয়েছি। দ‌লের স্থায়ী ক‌মি‌টির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কমিটির চেয়ারম্যান।

আগের কমিটির প্রায় সব সদস্য নতুন কমিটিতে আছেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য তরিকুল ইসলামের ছেলে সহসাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলালসহ ৫-৬ জনকে নতুন সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

ব্যারিস্টার মীর হেলাল ফেসবুক স্ট্যাটাসে কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২১ সদস্যের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটিতে পুরনোদের মধ্যে আছেন- কমিটির চেয়ারম্যান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সদস্য বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক পররাষ্ট্র সচিব রিয়াজ রহমান, সাবিহ উদ্দিন চৌধুরী, বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, আইনবিষয়ক সহসম্পাদক রুমিন ফারহানা, ফাহিমা নাসরিন মুন্নী। নতুন করে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন দলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর হেলাল, তাবিথ আউয়াল, জেবা খান প্রমুখ।

গত ১৭ জানুয়ারি তারেক রহমানের নির্দেশে বিদেশবিষয়ক কমিটি ভেঙে দেয়া হয়।

প্রসঙ্গত ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির আহ্বায়ক ইনাম আহমেদ চৌধুরীর পদত্যাগের কারণে আগের কমিটি ভেঙে দেয়া হয়। গত ১৯ ডিসেম্বর ইনাম আহমেদ আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এর পরই দলের নীতি ও বৈদেশিক কাজে নতুন অগ্রগতি আনতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ইনাম আহমেদ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। জোট সরকারের সময় তিনি প্রাইভেটাইজেশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন।

২০১৫ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সাবেক পররাষ্ট্র সচিব রিয়াজ রহমানকে চেয়ারম্যান করতে চাইলে ইনাম আহমেদ চৌধুরীকে এ পদে নিয়োগের প্রস্তাব করেন রিয়াজ রহমান। এর আগে এ কমিটিতে প্রধান হিসেবে শমসের মবিন চৌধুরী ও প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমান দায়িত্ব পালন করেছেন। শমসের মবিন চৌধুরী প্রথমে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন এবং পরে বিকল্পধারায় যোগ দেন। আর শফিক রেহমান বয়সের কারণে অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। এবারই প্রথম দলের স্থায়ী কমিটির কোনো সদস্য বিদেশবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান হলেন।