২৩ ডিসেম্বর মাঠে নামবে সেনাবাহিনী

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে মাঠে নামবে সশস্ত্র বাহিনী। নির্বাচনের দুইদিন পর পর্যন্ত মাঠে থাকবে তারা। মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য অর্থ বরাদ্দ সংক্রান্ত এক সভায় এই তথ্য উঠে এসেছে।

ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, ভোটের আগে ও পরে ১০ দিনের জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে মাঠে নামানোর বিষয়ে ইসির পরিকল্পনা রয়েছে। তবে তা চূড়ান্ত করা সামনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকের পর। সেই বৈঠকেই নির্বাচনে কত সংখ্যক সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের প্রয়োজন হবে, এবং কতদিনের জন্য মোতায়েন করা হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

এর আগে গত ২২ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা জানিয়েছিলেন, ১৫ ডিসেম্বরের পর থেকে সশস্ত্র বাহিনীর ছোট ছোট টিম মাঠে থাকবে। তিনি বলেন, ১৫ ডিসেম্বরের পর সশস্ত্র বাহিনীর ছোট টিম পুলিশের সঙ্গে দেখা করবে। প্রতিটি জেলায় থাকবে সশস্ত্র বাহিনীর এসব ছোট ছোট টিম। এসব টিমকে নিয়ে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে পুলিশকে। তবে মঙ্গলবারের সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, ১৫ ডিসেম্বরের পর সেনাবাহিনীর একাধিক টিম মাঠের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে। এরপর ২৩ ডিসেম্বর থেকে তারা দায়িত্ব নিয়ে মাঠে নামবে।

বৈঠকের পরই আইনশৃঙ্খলা পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে। এ বিষয়ে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তাদের কত বাজেট সেটা জানতে চেয়েছি।

আমরা এবার আনসার বাহিনীকে শতভাগ অগ্রিম বরাদ্দ দেব। আর অন্যান্য বাহিনীকে বাজেটের ৫০ শতাংশ অগ্রিম বরাদ্দ দেব। বাকি টাকা পরে সমন্বয় করা হবে। ইসি সচিব বলেন, এবার গ্রাম পুলিশকেও নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করা হবে।

সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, ভোটের আগে ও পরে ১০ দিনের জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে মাঠে নামানোর বিষয়ে ইসির পরিকল্পনা রয়েছে। তবে তা চূড়ান্ত করা হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকের পর।

উল্লেখ্য দশম সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী ২০১৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ১৫ দিন মাঠে ছিল। তারা সাধারণ এলাকায় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মেট্রোপলিটন এলাকায় কমিশনারের অধীনে দায়িত্ব পালন করেন।