২৩ মরদেহে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা

আর্মি স্টেডিয়ামে নেপাল থেকে আনা কফিনবন্দি ২৩ মরদেহের প্রতি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

সোমবার বিকেলে হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আলাদা গাড়িতে মরদেহগুলো আর্মি স্টেডিয়ামে নেওয়া হয়। এরপর একে একে মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতির পক্ষে তাঁর সামরিক সচিব শ্রদ্ধা জানান। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নিবেদন করেন। এরপর স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর পক্ষে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এর আগে অনুষ্ঠিত জানাজায় অংশ নেন সরকারের মন্ত্রী, আওয়ামী লীগ নেতা ও সামরিক বাহিনীরা বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

বিমানবন্দরে বিমানবাহিনীর বিশেষ বিমান থেকে একে একে ২৩টি কফিনবন্দি মরদেহ বিমান থেকে নামানো হয়। এ সময় শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বিকেলে ৪টা ৫ মিনিটে মরাদেহ পৌঁছার পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী শাহজাহান কামাল মরদেহ গ্রহণ করেন।

এ সময় বিমানবাহিনী প্রধান, বেসামরিক বিমাল চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার পর থেকেই শেখ হাসিনার সরকার স্বজনহারাদের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে। তিনি আরো বলেন, ‘তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে।’

বিমানমন্ত্রী শাহজাহান কামাল বলেন, ‘ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার হয়েছে। তদন্ত হচ্ছে, সময়মতো সবকিছু শেষ হবে।’

এর আগে ২টা ৫৫ মিনিটের দিকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের বিশেষ বিমান নেপালে অবস্থানরত স্বজনদের নিয়ে বিমানবন্দরে অবতরণ করে। দুর্ঘটনার পরের দিন ১৩ মার্চ ৪৬ স্বজনকে নিয়ে নেপাল যায় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট। তাঁদের আসা-যাওয়া এবং ওখানে থাকার সব ব্যবস্থা করে ইউএস-বাংলা।

গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুতে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলার বিমান। এ সময় ক্রু ও যাত্রীসহ মোট ৭১ জন আরোহী ছিল বিমানে। এদের মধ্যে ২৬ বাংলাদেশিসহ ৫১ জন নিহত হয়। অন্য তিন বাংলাদেশির লাশ এখনো শনাক্ত না হওয়ায় নেপাল থেকে নিয়ে আনা হয়নি।