‘২৪-২৬ অক্টোবর ইন্টারনেটের গতি কম থাকবে’

সাবমেরিন কেবল (সি-মি-উই-৪) মেরামতের জন্য দেশে আগামী ২৪ থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত ইন্টারনেটের গতি কম থাকবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

রোববার সচিবালয়ে টেলিটকের ‘অপরাজিতা সিম’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

আগামী ২-৩ দিন ইন্টারনেটে গতি কম থাকতে পারে বলা হচ্ছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারানা হালিম বলেন, ‘সাবমেরিন কেবল (সি-মি-উই-৪) মেইনটেনেন্সের জন্য একদম বন্ধ করা হচ্ছে। এটা বন্ধ হয়ে গেলে কিন্তু আমরা ইন্টারনেট থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন থাকতাম। যেহেতু আমরা সি-মি-উই-৫ কনসোর্টেয়ামে যুক্ত হয়েছি, এজন্য আমরা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হচ্ছি না। আমরা সংযুক্তই থাকছি, কিন্তু আমাদের গতি একটু স্লো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘নেটের স্পিড কিছুটা স্লো হবে। এটা তিন দিন থাকবে, ২৪ থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত।’

ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সি-মি-উই-৫ এ যুক্ত হওয়ার পর কিন্তু আমরা সাবমেরিন কেবলে ব্যান্ড উইডথের দাম কমাতে নির্দেশনা দিয়েছি। আমরা রফতানি করব, আমদানি কম করব। আমাদের কাছ থেকে আইটিসিগুলো (ইন্টারন্যাশনাল টেরিসট্র্যারিয়াল ক্যাবল) ব্যান্ড উইথ নিতে পারে। এখন আমাদের ব্যান্ড উইডথ দেওয়ার মতো আছে। আমাদের কাছ থেকে নিলে সি-মি-উই-৫ থেকে আমার আরও ব্যান্ড উইডথ আনব।’

তিনি বলেন, ‘চাহিদা সৃষ্টি হলে কিন্তু আমরা ২০০ জিবিপিএস (গিগাবাইট পার সেকেন্ড) থেকে আরও বাড়াব। আমাদের সেই ক্যাপাসিটি আছে, আমরা এক হাজার ৫০০ (জিবিপিএস) পর্যন্ত বাড়াতে পারি। সেই চাহিদা না থাকলেও সেই পরিমাণ ব্যান্ড উইডথ নিয়ে আসলে আমাদের লস হবে।’

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং পশ্চিম ইউরোপের কয়েক দেশের আন্তঃসংযোগ কনসোর্টিয়াম সি-মি-উই। এই কনসোর্টিয়ামের চতুর্থ প্রজন্মের কেবলের (সি-মি-উই-৪) সঙ্গে বাংলাদেশ যুক্ত হয় ২০০৫ সালে। এটি দেশের প্রথম সাবমেরিন কেবল হিসেবে পরিচিত।

সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বর মাসে দ্বিতীয় ‘সি-মি-উই-৫’ এ যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। পঞ্চম প্রজন্মের এই কেবলে ব্যবহার করা হয়েছে আধুনিক ১০০ জি আলোকতরঙ্গের ডিডব্লিউএম প্রযুক্তি। প্রতি সেকেন্ডে এর গতি ২৪ টেরাবাইট। জাপানের এনইসি ও ফ্রান্সের অ্যালকাটেল লুসেন্ট ২০ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ এই কেবল নির্মাণ করছে। মেয়াদকাল ধরা হয়েছে ২০ থেকে ২৫ বছর।