৪র্থ দিনেও আমরণ অনশন অব্যাহত এমপিও শিক্ষকদের

বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে আমরণ অনশন অব্যাহত রেখেছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ৪র্থ দিনের মত অনশন পালন করছেন তারা।

জাতীয়করণের দাবিতে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গত ১০ জানুয়ারি থেকে আন্দোলনে নামেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। ১৫ জানুয়ারি থেকে তারা প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তার পাশে পাটি বিছিয়ে গায়ে কম্বল জড়িয়ে শুয়ে বসে আমরণ অনশন পালন করে যাচ্ছেন। এসব শিক্ষকদের ছয়টি সংগঠন জোট ‘বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরামের’ ব্যানারে এ আন্দোলনের পরিচালিত হচ্ছে। আন্দোলনে ৬৭ জন শিক্ষক-কর্মচারী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কেউ কেউ পার্শ্ববর্তী হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে আবারও আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। অনেক শিক্ষকের শরীরে স্যালাইন লাগিয়েই তারা অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন।

অন্যদিকে, শিক্ষক নেতৃবৃন্দ মাইকে তাদের দাবি পূরণে আন্দোলন চালিয়ে যেতে উৎসাহ-উদ্দীপনা দিয়ে যাচ্ছেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষকরা বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈষম্যদূরীকরণে এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষকরা জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন। সারা দেশের প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী এ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।

তারা বলেন, দেশের ৯৭ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেসরকারিভাবে পরিচালিত হচ্ছে। তারা সেসব প্রতিষ্ঠান চালালেও নামে মাত্র বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। তা দিয়েই মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। অথচ ৩ শতাংশ সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা উচ্চমানের বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। এ কারণে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করতে হবে। এ দাবিতে আমরা রাজপথে নেমেছি।

সারা দেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঁচটি সংগঠন এক জোট হয়ে ‘বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরামের’ উদ্যোগে এ আন্দোলন শুরু হয়েছে।

লিয়াঁজু ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মো. আব্দুল খালেক বলেন, জাতীয়করণ ছাড়া আমরা ঘরে ফিরে যাবো না। দাবি পূরণে আমরা সোমবার সকাল পর্যন্ত সময় দিয়েছিলাম। এ সময়ের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আশ্বাস না আসায় সোমবার থেকে দেশের দেশের ২৬ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা আমরণ অনশনে নামছেন।