৪ বছরে বন্ধ ১২শ’ গার্মেন্টস, আরও বন্ধের আশঙ্কা

বাংলাদেশে গত চার বছরে ১২০০ গার্মেন্ট কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)-এর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।

তিনি বলেছেন, যেসব বাধ্যবাধকতা পূরণের কথা রয়েছে তার পূরণে সম্মতির অভাব এবং প্রতিযোগিতামুলক পরিবেশে পিছিয়ে পড়ার কারণে এসব কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।

সিদ্দিকুর রহমান মনে করছেন, ব্যবসায় লাভ করতে না পারলে শিগগিরই আরো অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। তাকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন ফাইবার টু ফ্যাশন।

সিদ্দিকুর রহমানকে উদ্ধৃত করে বাংলাদেশের মিডিয়ায় রিপোর্ট হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প প্রতিযোগিতায় হেরে যাচ্ছে।

এর কারণ, দীর্ঘস্থায়ী প্রতিযোগিতা, দুর্বল উৎপাদনশীলতা এবং বৈশ্বিক বাজারে চাহিদা পড়ে যাওয়া। ২০১৪ সালে বিশ্ববাজারে তৈরি পোশাকের চাহিদা ছিল ৪৮৩০০ কোটি ডলারের। ২০১৭ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৫৪০০ কোটি ডলারে।

২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশী তৈরি পোশাকের মূল্য মার্কিন বাজারে শতকরা ১১.৭২ শতাংশ কমে গেছে। বিজিএমইএ প্রধান বলছেন, অন্যদিকে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ২৯.৫৪ শতাংশ। একই অবস্থা দেখা গেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বাজারে। অ্যাকর্ড ও এলায়েন্সের বিশেষজ্ঞদের সুপারিশমতো, অবকাঠামো খাত ও বৈদ্যুতিক সুবিধা ঠিক করতে গিয়ে গার্মেন্ট মালিকদেরকে বড় অংকের অর্থ খরচ করতে হয়েছে।

সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এ বছরের ডিসেম্বর থেকে সর্বনিম্ন বেতন ৮০০০ টাকা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে উৎপাদন খরচ আরো বেড়ে যাবে। ক্লিন ক্লথস ক্যাম্পেইন, ইন্টারন্যাশনাল লেবার রাইটস ফোরাম ও মাকুইলা সলিডারিটি নেটওয়ার্কের দেয়া বিবৃতির প্রশংসা করেছেন বিজিএমইএ প্রধান সিদ্দিকুর রহমান। ওই বিবৃতিতে তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ২৫টি খুচরা ক্রেতার প্রতি বাংলাদেশী গার্মেন্ট পণ্য কেনার জন্য মূল্য বাড়ানোর আহ্বান জানায়।

আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার এসোসিয়েশনের প্রতি সিদ্দিকুর রহমান আহ্বান জানিয়েছেন যে, তারা যেন বায়ার বা ক্রেতা কোম্পানিগুলোকে পণ্যমূল্য বাড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানায়। উল্লেখ্য, এই প্রতিষ্ঠানটি গত বছর বাংলাদেশী প্রধানমন্ত্রীর কাছে শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির জন্য একটি চিঠি পাঠিয়েছিল।