৪ বছর ধরে মাকে ধর্ষণ, মেয়ের ইজ্জত বাঁচাতে মামলা

এক নারীকে গত চার বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগে মো. আলী উজ্জল (৪০) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে এ ঘটনায় তিনি মানিকগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

অভিযুক্ত আলী উজ্জল মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার হেলাচিয়া গ্রামের দরবেশ বেপারীর ছেলে। তিনি হেলাচিয়া এলাকায় স’মিল, রাইস মিল ও ফার্নিচার ব্যবসা করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত আলী উজ্জল শারীরিক সম্পর্ক করার পাশাপাশি বিভিন্ন সময় নির্যাতিতা ওই নারীকে শারীরিক নির্যাতন করতেন। উজ্জল অনেক সময় ভিন্ন ভিন্ন মানুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতেও বাধ্য করতেন এবং শারীরিক সম্পর্ক করতে রাজি না হলে তার গোপন ভিডিও স্বামীকে দেখানোর পাশাপাশি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখান। সেই সঙ্গে ওই নারীকে দিয়ে বিভিন্ন এনজিও থেকে ৮ লাখ টাকা ২৫ হাজার টাকা ঋণ উঠিয়েছে উজ্জল। কিন্তু এখন উজ্জলের কুদৃষ্টি পড়েছে ওই নারীর স্কুলপড়ুয়া মেয়ের দিকে।

বিভিন্ন এনজিও টাকা ফিরতের কথা বলে ওই নারী ও তার মেয়েকে নিয়ে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে মানিকগঞ্জ শহরের উত্তর সেওতা এলাকার মনিরা বেগমের ৪তলাবিশিষ্ট বাসার চিলেকোঠার কক্ষে আসতে বলেন। না আসলে এনজিওর ওই টাকা ফেরত না দেয়ার হুমকি দেন। পরে ওই নারী তার মেয়েকে নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ওই বাড়ির চিলেকোঠার কক্ষে আসেন। কথা বলার অজুহাতে প্রথমে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন এবং পরে তার মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের কথা বলেন। এ সময় ওই নারীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়।

মাঝে মধ্যেই অপরিচিত নারী-পুরুষরা মনিরা বেগমের ওই বাসায় আসতেন এবং দীর্ঘ সময় পার করে চলে যেতেন। এমন সন্দেহের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে কয়েকজন স্থানীয় লোকজন মনিরা বেগমের বাসায় যান। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে উজ্জল তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ফেলেই পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ওই নারীর সঙ্গে কথা বলে এ ঘটনা জানতে পারে। প্রথমে মানসম্মানের ভয়ে কাউকে কিছু বলেনি। কিন্তু মেয়ের ইজ্জত বাঁচাতে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে মামলা করেছেন তিনি।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি রকিবুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় মো. আলী উজ্জল এবং তার অপকর্মে সহায়তা করায় ওই বাড়ির মালিক মনিরা বেগমের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আর ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের ধরার চেষ্টা চলছে। উদ্ধার হওয়া মোবাইলটিকে পরীক্ষা করা হচ্ছে।