৫০ শহর ১০ হাজার গ্রাম মাড়িয়ে বাংলাদেশে ‘ফণী’

ভারতের উড়িষ্যায় তাণ্ডব চালিয়ে পশ্চিমবঙ্গ এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ বাংলাদেশে আঘাত হানা শুরু করেছে। তবে এর মূল আঘাত শুরু হবে শুক্রবার মধ্যরাতে। এসময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত।

রাতে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ।

সামছুদ্দিন আহমেদ জানান, ফণী বাংলাদেশে আঘাত হানবে মধ্যরাতে। তখন বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার। এটি বাংলাদেশের ঢোকার পর কুষ্টিয়া, পাবনা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, রংপুর, দিনাজপুর হয়ে ঝড়টি শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ ভারতের মেঘালয়ে ঢুকে যাবে । এসময় এসব জায়গাগুলোত বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। সাথে থাকবে দমকা ঝড়ো বাতাস। তবে যত সময় যাবে, বৃষ্টি এবং বাতাসের তীব্রতা কমতে থাকবে। রোববার নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ফণী ভারতের ওড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গের স্থলভাগ দিয়ে আসায় ধীরে ধীরে শক্তি হারাচ্ছে। পুরীতে আঘাত হানার সময় এর গতিবেগ ছিলো ১৮০-২০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। মধ্যরাতের পরে যেকোনো সময় এটি পুরোপুরিভাবে বাংলাদেশে আঘাত হানবে। যত এগুবে তত শক্তি হারাতে থাকবে। তারপরও ঝড়ের প্রভাবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নিচু অঞ্চলগুলো প্লাবিত হতে পারে।বৃষ্টি হবে অনেক।ঝড়ো বাতাসে কাঁচা ঘরবাড়ি কিছু নষ্ট হতে পারে। ঝড়ো বাতাসে এবং জমি প্লাবিত হওয়ায় অনেক জায়গায় ফসল নষ্ট হবে।’

ভয়াবহ এই ঘূর্ণিঝড়টি তার যাত্রাপথে ৫০টি শহর এবং প্রায় ১০ হাজার গ্রাম মাড়িয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে।

এর আগে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক ব্রিফিংয়ে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল বলেন, ‘ফণী’র সতর্কতা জারির পর বিকেল পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে ১২ লাখ ৪০ হাজার ৭৯৫ জনকে। সন্ধ্যার পর পর্যন্ত এ সংখ্যা ১৫ থেকে ১৮ লাখে পৌঁছানোর আশাবাদ আমাদের।

ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, দুর্যোগ পরিস্থিতির জন্য যে প্রস্তুতি আছে, আশা করি আমরা সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারবো। কোনো প্রাণহানি হবে না না বলে আমাদের প্রত্যাশা।তবে ফসল রক্ষা করা যাবে না।