৫২ পণ্যের দুটির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

মানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ায় ৫২টি খাদ্যপণ্যে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার মাস না পেরোতেই দুটি পণ্যের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস টেস্টিং ইন্সটিটিউট (বিএসটিআই)।

মঙ্গলবার (২৮ মে) রাষ্ট্রায়ত্ত মানসংস্থাটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া পণ্য দুটি হলো-এসিআই ব্র্যান্ডের লবণ ও নিউজি ল্যান্ড ডেইরির ডুডল নুডুলস

বিএসটিআইয়ের উপ-পরিচালক রিয়াজুল হক বলেন, ৫২টি ব্র্যান্ডের মধ্যে ৯টির লাইসেন্স বাতিল এবং বাকি ৪৭টির স্থগিত রাখা হয়েছিল। যাদের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল তারা ইতোমধ্যেই নিজেদের সংশোধনের প্রচেষ্টা শুরু করেছে। এই পরীক্ষায় এসিআই ব্র্যান্ডের লবণ ও নিউজিল্যান্ড ডেইরির ডুডল নুডুলস উত্তীর্ণ হয়েছে।

এর আগে, চলতি মাসের শুরুতে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএসটিআই জানায়, মার্চ ও এপ্রিলে ইফতার ও সেহরির জন্য ব্যবহৃত ২৭ ধরনের খাদ্যপণ্যের ৪০৬টি নমুনা গোপন তৎপরতার মাধ্যমে বাজার থেকে সংগ্রহ করে বিএসটিআই ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়। ৪০৬টি নমুনার মধ্যে ৩১৩টির ফল পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ৫২টি ব্র্যান্ডের ১৮টি নিম্নমানের রয়েছে।

এর পর ওই ৫২টি ব্র্যান্ডের পণ্য বাজার থেকে প্রত্যাহারে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেয় আদালত। এরই ধারাবাহিকতায় ৫২টি ব্র্যান্ডকে কারণ দর্শানোর নোটিসও দেয় বিএসটিআই। উত্তর না আসায় ৯টি ব্র্যান্ডের লাইসেন্স বাতিল করা হয়। বাকি ৪৭টি ব্র্যান্ডের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়।

তবে এই ৫২টি ব্র্যান্ডই বাজার থেকে তুলে নেয়ার জন্য সরকারি সংস্থা ও মালিকপক্ষ যৌথভাবে কাজ করে আসছিল এতোদিন।

সেই ৫২টি পণ্য হলো- প্রাণের হলুদ গুঁড়া, ফ্রেশের হলুদ গুঁড়া, মোল্লা সল্টের আয়োডিন যুক্ত লবণ, প্রাণের কারি পাউডার, ড্যানিশের কারি পাউডার, সিটি ওয়েলের সরিষার তেল, গ্রিন ব্লিচিংয়ের সরিষার তেল, শমনমের সরিষার তেল, বাংলাদেশ এডিবল ওয়েলের সরিষার তেল, কাশেম ফুডের চিপস, আরা ফুডের ড্রিংকিং ওয়াটার, আল সাফির ড্রিংকিং ওয়াটার।

মিজানের ড্রিংকিং ওয়াটার, মর্ণ ডিউয়ের ড্রিংকিং ওয়াটার, প্রাণের লাচ্ছা সেমাই, ডুডলি নুডলস, শান্ত ফুডের সফট ড্রিংক পাউডার, জাহাঙ্গীর ফুড সফট ড্রিংক পাউডার, ড্যানিশের হলুদের গুঁড়া, এসিআইয়ের ধনিয়ার গুঁড়া, বনলতার ঘি, পিওর হাটহাজারী মরিচ গুঁড়া, মিস্টিমেলার লাচ্ছা সেমাই, মধুবনের লাচ্ছা সেমাই, মিঠাইয়ের লাচ্ছা সেমাই, ওয়েল ফুডের লাচ্ছা সেমাই।

এসিআইয়ের আয়োডিনযুক্ত লবণ, কিংয়ের ময়দা, রূপসার দই, মক্কার চানাচুর, মেহেদীর বিস্কুট, বাঘাবাড়ীর স্পেশাল ঘি, নিশিতা ফুডসের সুজি, মধুবনের লাচ্ছা সেমাই, মঞ্জিলের হলুদ গুঁড়া, মধুমতির আয়োডিনযুক্ত লবণ, সান ফুডের হলুদ গুঁড়া, গ্রিন লেনের মধু।

কিরণের লাচ্ছা সেমাই, ডলফিনের মরিচের গুঁড়া, ডলফিনের হলুদের গুঁড়া, সূর্যের মরিচের গুঁড়া, জেদ্দার লাচ্ছা সেমাই, অমৃতের লাচ্ছা সেমাই, দাদা সুপারের আয়োডিনযুক্ত লবণ, মদিনার আয়োডিনযু্ক্ত লবণ ও নুরের আয়োডিনযুক্ত লবণ ডানকানের ন্যাচারাল মিনারেল ওয়াটার, আরার ডিউ ড্রিংকিং ওয়াটার, দীঘির ড্রিংকিং ওয়াটার।

রিয়াজুল বলেন, পণ্যগুলোর যেসব সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে কোম্পানিগুলো তা সংশোধনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে আমাদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন। যারা সংশোধন করতে পেরেছে তাদের পণ্য পরীক্ষা করে বাজারজাতকরণের অনুমোদন দেয়া হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, নিউজি ল্যান্ড ডেইরির ডুডল নুডলসের মধ্যে ১১ শতাংশ আর্দ্রতা ছিল। যদিও বাংলাদেশের নিয়ম অনুযায়ী সেটা ১০ শতাংশের নিচে থাকার কথা। ইতোমধ্যেই তারা বিষয়টি ঠিক করেছে।