৫ বছর জেল : নির্বাচন করতে পারবেন না খালেদা

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড পাওয়ায় সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের (২)(ঘ) উপ–অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন করতে পারবেন না বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

এ অনুচ্ছেদে সংসদে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা ও অযোগ্যতার বিষয়ে বলা হয়েছে কেউ নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া অন্যূন দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তাহার মুক্তি লাভের পর পাঁচ বছরকাল অতিবাহিত না হইয়া থাকে’ তাহলে তিনি নির্বাচিত হওয়ার অযোগ্য হবেন।

তবে উচ্চ আদালতে আপিল আবেদন গৃহীত হলে উচ্চ আদালত সাজা পরিবর্তন ও রায় স্থগিত করতে পারেন। সে ক্ষেত্রেও নিম্নআদালতে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।

দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হলে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অযোগ্য হতে পারেন বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ কয়েক মাস ধরেই আলোচনা চলছিল।

এ বিষয়ে গত বছর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছিলেন, মিথ্যা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা হলেও আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।

জিয়া অরফারেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল মামলার প্রতি ইঙ্গিত করে মওদুদ বলেন, এই মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়ার যদি সাজাও হয়, তার জনপ্রিয়তা আরও অনেক বেড়ে যাবে। এর সঙ্গে অন্য কেউ দ্বিমত পোষণ করবেন না। ধরে নিলাম মিথ্যা মামলায় তাকে (খালেদা জিয়া) জড়িয়ে তার সাজা হল। তখন আমরা আপিল ফাইল করব, আপিলটা হল কনটিনিউশন অব প্রসিডিংস অর্থাৎ যে বিচার হয়েছে, সেই বিচারের এটা হল ধারাবাহিকতা। তখন আমরা তার জন্য ইনশাল্লাহ জামিন নেব। খালেদা জিয়া সরাসরি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এই কথাগুলো বুঝতে যেন অসুবিধা না হয়- এমন একটা ভাব যে, উনি যদি সাজাপ্রাপ্ত হয়ে যান, তাহলে উনি আগামী ৩ বছর বা ৭ বছর জেলখানায় থাকবেন, এটা হয় না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রচলিত নিয়মানুযায়ী, আপিল ফাইল করার পরপরই আমরা জামিনের জন্য দরখাস্ত করব। সাধারণ তিন বছর সাজা হলে জামিন এমনিতেই হয়, আর ৭ বছরের শাস্তি হলে আমাদেরকে হয়তো অল্প কিছু দিন ব্যবধানে আবার জামিন নিশ্চিত করতে হবে এবং জেলখানা থেকে খালেদা জিয়া মুক্ত হয়ে ফিরে আসবেন। এটাই হল কথা। সুতরাং এটা নিয়ে নানা রকমের জল্পনা-কল্পনা, নানা-রকমের কথাবার্তা হচ্ছে এগুলো অপ্রাসঙ্গিক। খালেদা জিয়ার যদি শাস্তি হয়ে যায়, উনার তো আর নির্বাচন করা সম্ভব নয়- এই যে একটা ধারণা এটা সঠিক নয়। তিনি আগামী নির্বাচনে সরাসরি অংশগ্রহণ করতে পারবেন। শুধু প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারবেন না, তিনি আমাদের দলের নেতৃত্ব দিতে পারবেন, ২০ দলীয় জোটের নেতৃত্ব দিতে পারবেন।