৫ লাখ টাকার কালামানিক

রাজধানীর অাফতাব নগরের অস্থায়ী পশুর হাটে কোরবানি উপলক্ষে গরু আনতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। ইতোমধ্যে কুষ্টিয়া থেকে প্রায় শতাধিক ব্যবসায়ী গরু নিয়ে এসেছেন হাটটিতে। তাদেরই একজন মিরপুর থানার আমলা ইউনিয়নের মো. রাজু। এই ব্যবসায়ী নিজ বাড়িতে প্রায় দেড় বছর ধরে পোষা ‘কালামানিক’ নামের একটি গরু নিয়ে এসেছেন। দেখতে অনেকটা হাতির মতো এই কালামানিকের দাম প্রাথমিকভাবে তিনি হাঁকছেন ৫ লাখ টাকা। তবে কেউ ৪ লাখ টাকা দিলে গরুটি বিক্রি করে দেবেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় আফতাব নগর পশুর হাটে কথা হয় রাজুর সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘১৫ মাস আগে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে গরুটি কিনি। এই ১৫ মাস বাড়িতে পরম আদরে ওকে লালন-পালন করেছি।’

‘ওর গায়ের রঙ কালো, তাই নাম দিয়েছি কালামানিক। ও আমার লক্ষ্মী কালামানিক। খাওয়ার ক্ষেত্রে ওর কোনো অরুচি নেই। যা দিই তাই খায়। তবে ভুসি, চালের কুড়া, খুদের ভাতই বেশি খেতে দিয়েছি’ -বলেন রাজু।

দামের বিষয়ে জানতে চাইলে এই ব্যবসায়ী বলেন, ‘এবার গরুর দাম একটু বেশি। কালামানিকের দাম চাচ্ছি ৫ লাখ টাকা। তবে ৪ লাখ হলে ছেড়ে দেব। আর যদি কালকের মধ্যে বিক্রি না হয়, তাহলে বাজারের দামের ওপর নির্ভর করবে দাম। তখন দাম ৫ লাখের বেশিও হতে পারে। কিন্তু ৪ লাখের নিচে বিক্রি করব না।’

কুষ্টিয়ার আমলা থেকে গরু নিয়ে আসা বাবুল নামের আর এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমরা ১৪টি গরু নিয়ে এসেছি। দেড় লাখ থেকে আড়াই লাখ টাকার মধ্যে এক একটি গরু বিক্রি করতে পারব বলে আশা করছি।’

তিনি বলেন, ‘এবার গ্রামে গরুর দাম অনেক বেশি। গতবারের তুলনায় এবার প্রতিটি গরু কিনতে ১০-১৫ হাজার টাকা বেশি খরচ হয়েছে। গত বছর যে গরু ১ লাখ টাকায় কিনেছি, এবার সেই সাইজের গরু কিনতে ১ লাখ ১০ হাজার টাকার ওপরে খরচ পড়েছে।’

অাফতাব নগর হাটে তুলনামূলক ছোট আকারের গরু নিয়ে এসেছেন কুষ্টিয়ার মিরপুরের শাহীন। তিনি বলেন, ‘সব থেকে ছোট গরুটির দাম চাচ্ছি ৭০ হাজার টাকা। এর নিচে এবার বিক্রি করলে চালান থাকবে না। কারণ এবার গরু কিনতে খরচ বেশি পড়েছে। ৭০ হাজার টাকার এ গরুই গত বছর ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।’

কতটি গরু এনেছেন? এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘আমরা পাঁচজন মিলে ২৫টি গরু এনেছি। এর মধ্যে সব থেকে বড়টি ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারব বলে আশা করছি। বাকিগুলো ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি করব বলে ঠিক করেছি।’