৬ উইকেট হারিয়ে ৪০০ পেরোল বাংলাদেশ

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনের প্রায় পুরোটা সময়ই দাপট দেখিয়েছেন মুমিনুল হক। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করে তুলে নিয়েছিলেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম টেস্ট শতক। অপরাজিত ছিলেন ১৭৫ রানে। দ্বিতীয় দিনের শুরুটা করেছিলেন দ্বিশতকের স্বপ্ন চোখে নিয়ে। তবে শেষপর্যন্ত তেমনটা হলো না। দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই সাজঘরে ফিরতে হয়েছে মুমিনুলকে। প্রথম দিনের সঙ্গে তিনি যোগ করতে পেরেছেন মাত্র ১ রান। খুব বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি মোসাদ্দেক হোসেন। ফিরে গেছেন মাত্র ৮ রান করে। তবে সপ্তম উইকেটে ২৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে এগিয়ে যাচ্ছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। এই প্রতিবেদন লেখার সময় বাংলাদেশর স্কোর : ৪১৪/৬।

প্রথম চার ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিমের দারুণ ব্যাটিংয়ে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনটি নিজেদের করে নিয়েছিল বাংলাদেশ। চার উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে জমা করেছিল ৩৭৪ রান।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ঝড়ো সূচনা করেছিল বাংলাদেশ। রীতিমতো ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করছিলেন তামিম ইকবাল। উদ্বোধনী জুটিতে তামিম ও ইমরুল জমা করেছিলেন ৭২ রান। গড়ে দিয়েছিলেন শক্ত ভীত। এই ৭২ রানের ৫২ রানই এসেছে তামিমের ব্যাট থেকে। ১৬তম ওভারে দিলরুয়ান পেরেরার বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেছিলেন তামিম। দ্বিতীয় উইকেটে মুমিনুল হকের সঙ্গে জুটি বেঁধে ইমরুল যোগ করেছিলেন আরো ৪৮ রান। ২৮তম ওভারে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরার আগে ইমরুল করেছেন ৪০ রান।

দুই ওপেনারের উইকেট হারানোর পরও দাপুটে ব্যাটিং অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে মুমিনুল ও মুশফিক গড়েছিলেন ২৩৬ রানের দারুণ জুটি। তৃতীয় উইকেটে এটিই বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ জুটির নতুন রেকর্ড।

তবে শতকের খুব কাছাকাছি গিয়েও হতাশ হতে হয়েছে সাবেক অধিনায়ক মুশফিককে। ৯২ রান করে ধরতে হয়েছে সাজঘরের পথ। তবে মুমিনুল শতক তো বটেই, এখন ছুটে চলেছেন দ্বিশতক করার পথে। প্রথম দিনের খেলা শেষে ১৭৫ রান করে অপরাজিত আছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ৯ রান নিয়ে দিন শেষ করেছেন মাহমুদউল্লাহ। প্রথম দিনের খেলায় হতাশা ছড়িয়েছেন শুধু পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নামা লিটন দাস। প্রথম বলেই আউট হয়ে শূণ্য রানে সাজঘরে ফিরেছেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।