৭ বছরেই বড়দের ক্রিকেটে বিস্ময় বালক জিসান

গাইবান্ধার তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটে সাত বছরের এক বিস্ময় বালকের অভিষেক হয়েছে। তাঁর নাম ইশতিয়াক আহমেদ জিসান। সে বৃহস্পতিবার খেলেছে অঞ্জলি স্মৃতি সংসদের হয়ে। জিসানের দল ৬ উইকেটে হারিয়েছে সানরাইজ স্পোর্টিং ক্লাবকে। যদিও তাঁকে ব্যাট হাতে নামতে হয়নি। তবে বল হাতে ৪ ওভারের কোটা পূরণ করেছে। রান দিয়েছে ২৩। উইকেট না পেলেও তাঁর এ বয়সে বড়দের সঙ্গে খেলাটা সবাইকে অবাক করেছে। এত কম বয়সে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে বাংলাদেশের আর কারও অভিষেক হয়েছে কি না বলা মুশকিল!

মাত্র দুবছরেই ক্রিকেটের প্রতি ঝুঁকে যায় গাইবান্ধার থানা পাড়ার এই ছোট্ট শিশুটি। টেলিভিশনে ক্রিকেট খেলা হলেই তাঁর চোখ সরত না। বাবা জিল্লুর রহমান রতন ও মা ইয়াসমিন আক্তার বিথি ছেলের আগ্রহ বুঝতে পারেন। এর পর মাত্র সাড়ে চার বছর থেকে অনুশীলন শুরু করে এম এইচ লাইফ প্রিপেটরি একাডেমির দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র জিসান।

বাবা জিল্লুর রহমান বলেন, ‘মাত্র দুই বছর বয়স থেকে ওর ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ দেখে আমরা অবাক হই। ও ক্রিকেট ছাড়া অন্য কিছু দেখতে চাইত না। বাধ্য হয়েই আরেকটা টেলিভিশন কিনেছি শুধু ওর জন্য।’

অনুশীলনে সবসময়ের জন্য জিসানের সঙ্গী মা ইয়াসমিন আক্তার এক সময় বগুড়ায় হ্যান্ডবল খেলেছেন। কিন্তু ইচ্ছা থাকার পরও সামাজিকতার কারণে খুব বেশি দূর এগোতে পারেননি। তাই ছেলেকে ক্রিকেটার বানিয়ে সেই আক্ষেপ ঘোচাতে চান জিসানের মা,‘ আমি হ্যান্ডবল খেলতাম। সামাজিক বিধিনিষেধের কারণে ভালো কিছু করতে পারিনি। তাই ছেলেকে দিয়ে আমি আমার অপূর্ণতা ঘোচাতে চাই।’

জিসানকে দুবছর থেকেই চেনেন স্থানীয় কোচ খান মোহাম্মদ বাবলু। তাঁর ক্রিকেট কোচিং স্কুল থেকেই যে বেড়ে উঠছে এই বিস্ময় বালক। কোচ বাবলুও জিসানকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন, ‘ওকে নিয়ে আমি বড় স্বপ্ন দেখি। আমার মনে হয়, ও এভাবে চালিয়ে যেতে পারলে একদিন গাইবান্ধা তথা দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে।’