৯/১১ টুইন টাওয়ারে জঙ্গি হামলার ৫টি ‘চমকপ্রদ’ তথ্য

যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে আজ থেকে ১৬ বছর আগে জঙ্গি হামলা হয়েছিল। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর চারটি বিমান আছড়ে পড়েছিল নিউ ইর্য়কে অবস্থিত ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের টুইন টাওয়ারে। যার জেরে ধ্বংস হয় ওই দুই টাওয়ার।

এ ঘটনায় প্রায় তিন হাজার মানুষ নিহত হয়। এ হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র আল কায়েদাকে অভিযুক্ত করে। মার্কিন সরকারের তদন্তে ঘটনায় কয়েকটি দেশের সরকারের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাওয়া গেছে বলে গুজবও আছে। এবার জেনে নিন ৯/১১ হামলার পাঁচ ‘চমকপ্রদ’ তথ্য।

১) ৯/১১ হামলাকারীরা সাংকেতিক বার্তার মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করত। এই হামলার কয়েক সপ্তাহ আগে আবু আবদুর রহমান নামের এক পরিকল্পনাকারী তার বান্ধবীকে এমনই এক বার্তা পাঠিয়েছিল। তিনি লেখেন, ৩ সপ্তাহের মধ্যে প্রথম সেমিস্টার শুরু হবে।

দুটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (টুইন টাওয়ার) এবং দুটি বিশ্ববিদ্যালয় ( ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত লক্ষ্যবস্তু)…এ গ্রীষ্মে নিশ্চিতভাবে অনেক গরম পড়বে… ব্যক্তিগত পড়াশোনায় ১৯টি সনদপত্র (হামলায় অংশগ্রহণকারী হাইজ্যাকারদের সংখ্যা) এবং ৪টি পরীক্ষা (হামলায় ব্যবহৃত বিমান)। অধ্যাপককে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা।

২) হামলার পর ঘটনাস্থলে এক মাস ধরে আগুন জ্বলেছিল। তবে কেউ কেউ জানান, হামলার ৯৯ দিন পর পর্যন্ত আগুন জ্বলার প্রমাণ রয়েছে। তারা জানান এ আগুন ২০০১ সালের ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত জ্বলেছিল।

৩) হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে জীবিত উদ্ধারের সংখ্যা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। তবে অধিকাংশের মতে, হামলার পর উদ্ধারকৃতদের মধ্যে মাত্র ২০ জন শেষ পর্যন্ত জীবিত ছিলেন। তবে এরা বাকি জীবন শরীরের বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনার ক্ষত বয়ে বেড়িয়েছিলেন।

৪) যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট আকাডেমি জানিয়েছে, টুইন টাওয়ারে হামলার পর ব্যবহৃত বিমানের মাত্র ১টি ইঞ্জিন উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল। টুইন টাওয়ার হামলায় বিস্ফোরণ এবং সৃষ্ট তাপে ইঞ্জিনটির টিকে থাকা এখনও রহস্যজনক।

৫)৯/১১ হামলার জন্য অভিযুক্তদের অনেকেই এখনও জীবিত রয়েছেন মাঝে মাঝে খবর পাওয়া যায়। এ নিয়ে হামলার পরপর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল বিবিসি এবং দ্য গার্ডিয়ান। সবচেয়ে বিস্ময়কর তথ্য হল, অভিযুক্তদের অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিতে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। সূত্র: কলকাতা টুয়েন্টিফোর।