৯১৯ কোটি টাকা পাচারে ক্রিসেন্ট কাদের কারাগারে

ক্রিসেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান এমএ কাদেরকে ৯১৯ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

এমএ কাদের জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজের ভাই। ক্রিসেন্ট গ্রুপের নামে জনতা ব্যাংকের ইমামগঞ্জ করপোরেট শাখা থেকে ভুয়া রপ্তানি বিলে ক্রয় দেখিয়ে ৯১৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগে বুধবার ৩টি মামলা করেছে শুল্ক বিভাগ।

এদিন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন এমকে কাদেরকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে রাখার আবেদন করেন।

তবে, তদন্তের স্বার্থে পরবর্তীতে তাকে রিমান্ডে নেয়া হতে পারে বলেও আবেদনে উল্লেখ করেন তিনি।

আসামিপক্ষে রেজাউল করিম, আবুল কালাম আজাদসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী শুনানি করেন।

শুনানিতে তারা বলেন, ‘মামলাটি মানি লন্ডারিংয়ের। দুদক তদন্ত করে মামলা করবে। কিন্তু, তা করা হয়নি। মামলা করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত বিভাগ।’

আসামির আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, ‘যারা মানি লন্ডারিং করে, তাদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। নিয়ম হলো, আগে মামলা করে পরে গ্রেপ্তার করতে হয়। তা না করে এমএ কাদেরকে ডেকে নিয়ে গ্রেপ্তার করে মামলা করা হয়েছে। অতি উৎসাহিত হয়ে মামলাটি করা হয়েছে।’

তারা আরও বলেন, ‘আসামি বাংলাদেশের সম্মানিত ব্যক্তি। তার প্রতিষ্ঠানে হাজার হাজার শ্রমিক কর্মরত। ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং শ্রমিকদের স্বার্থে এমএ কাদেরকে জামিন দেয়া হোক।’

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক এমএ কাদেরেরে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, বুধবার শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের দায়ের ৩টি মামলার আসামিরা হলেন— আবদুল আজিজের ভাই এমএ কাদের, চেয়ারম্যান, ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস লি: ও ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ; সুলতানা বেগম (মনি), ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস লি: ও ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লি:; আব্দুল আজিজ, চেয়ারম্যান, রিমেক্স ফুটওয়্যার লি:; মিসেস লিটুল জাহান (মিরা), ব্যবস্থাপনা পরিচালক, রিমেক্স ফুটওয়্যার লি:।

এ ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন— আবদুল্লাহ আল মামুন, সিনিয়র অফিসার (সাময়িক বরখাস্ত), জনতা ব্যাংক লি:; মনিরুজ্জামান, সিনিয়র অফিসার (সাময়িক বরখাস্ত), জনতা ব্যাংক লি:; সাইদুজ্জাহান, সিনিয়র অফিসার (সাময়িক বরখাস্ত), জনতা ব্যাংক লি:; মুহাম্মদ রুহুল আমিন, প্রিন্সিপাল অফিসার (সাময়িক বরখাস্ত), জনতা ব্যাংক লি:; মগরেব আলী, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (সাময়িক বরখাস্ত); জনতা ব্যাংক লি:; খায়রুল আমিন, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (সাময়িক বারখাস্ত), জনতা ব্যাংক লি:; আতাউর রহমান সরকার, এজিএম (সাময়িক বরখাস্ত) জনতা ব্যাংক লি:; ইকবাল, ডিজিএম, জনতা ব্যাংক লি:; একেএম আসাদুজ্জামান, ডিজিএম, জনতা ব্যাংক; কাজি রইস উদ্দিন আহাম্মেদ, ডিজিএম, জনতা ব্যাংক লি:; রেজাউল করিম, জিএম, জনতা ব্যাংক লি:; ফখরুল আলম, ডিএমডি, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (তৎকালীন জিএম জনতা ব্যাংক লি:); জাকির হোসেন, ডিএমডি, সোনালী ব্যাংক লি: (তৎকালীন জিএম জনতা ব্যাংক লি:)।