অগ্নিঝড়া মার্চে প্রথম দিবসে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মোমবাতি প্রজ্জলন ও আলোচনা সভা

অগ্নিঝড়া মার্চের প্রথম দিবসে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, ঢাকা মহানগর (উত্তর) শাখার উদ্যোগে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জলন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

১ মার্চ বিকেল ৪টায় মিরপুর ১০ নাম্বার জল্লাদখানা বধ্যভূমি’র সামনে আলোচনা সভা ও আলোচনা সভা শেষে জল্লাদখানা বধ্যভূমি’র ভিতরে মোমবাতি প্রজ্জলন কর্মসূচী পালন করে।

বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, ঢাকা মহানগর (উত্তর) শাখার সভাপতি মোঃ মিলন ঢালীর সভাপতিত্বে মোমবাতি প্রজ্জলন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু।

আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুদ্ধাপরাধ মামলার সাক্ষী বীর মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন জালাল (বিচ্ছু জালাল)।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, দেশবরেণ্য ভাস্কর শিল্পী ভাষ্কর রাশা, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, সাপ্তাহিক নতুন বার্তা’র সম্পাদক ইউসুফ আহমেদ তুহিন, সহ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ।

আলোচনা সভাটি সঞ্চলনা করেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, ঢাকা মহানগর (উত্তর) শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আল আমিন রিপন।

বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন তার বক্তব্যে পাকিস্তানীদের একাত্তরের গণহত্যার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষম চাওয়ার জোর দাবী জানান।

নতুন বার্তা’র সম্পাদক ইউসুফ আহমেদ তুহিন তার বক্তব্যে বলেন, ইউক্রেনের স্বাধীনতার এতো বছর পর রাশিয়া যেমন ইউক্রেনকে তাদের অংশ বলে দাবী করছে, পাকিস্তানী ষড়যন্ত্রও তেমনভাবে থেমে নেই। পাকিস্তানীদের সকল ষড়যন্ত্র থেকে তাই সতর্ক থাকতে হবে।

দেশবরেণ্য ভাস্কর শিল্পী ভাষ্কর রাশা বলেন, আমরা আজ দাড়িয়ে আছি সেই জল্লাদখানার সামনে যেখানে নিরীহ বাঙ্গালীদের হত্যা করে ফেলে রাখা হতো। একাত্তরের প্রেতাত্নারা আজ দূর্ণিতি, অনিয়ম করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছে।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন জালাল একাত্তরের রণাঙ্গরে গেরিলা বাহিনীর সদস্য হিসেবে মিরপুরে বিভিন্ন অভিযানের অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু বলেন, আমরা তখন ছোট ছিলাম। আমরা দেখেছি এই জল্লাদ খানায় অসংখ্য মাথার খুলী পড়ে থাকতে।

আলোচনা সভা শেষে জল্লাদখানা বধ্যভূমি’র ভিতরে মোমবাতি প্রজ্জলন কর্মসূচী পালন করা হয়।