অবশেষে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হল
অবশেষে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হল। উচ্চতর শিক্ষাগত ডিগ্রি যুক্ত হবে এখন থেকে তাদের সার্ভিস বুকে।
চাকরিরত অবস্থায় অনুমতি না নিয়ে স্নাতক, সম্মান ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে যারা সার্ভিসবুকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেননি এখন থেকে তাদের এই সার্টিফিকেটগুলো সার্ভিস বুকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন।
শিক্ষক নেতাদের অনুরোধে মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন এই সার্টিফিকেটগুলো সার্ভিসবুকে অন্তর্ভুক্তকরণের আদেশ দেন।
এই বিষয়ে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, চাকরিকালীন অর্জিত সার্টিফিকেটগুলো অন্তর্ভুক্তকরণের মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো শতভাগ স্নাতক ডিগ্রিধারী শিক্ষক পেল। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন মহোদয়কে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই শিক্ষকদের এ সমস্যা সামধানের জন্য। এই আদেশের মাধ্যমে প্রায় দেড় লাখ শিক্ষক তাদের অনুমতি ছাড়া অর্জিত সার্টিফিকেট সার্ভিস বুকে অন্তর্ভুক্ত করার সুবিধা পাবেন।
শিক্ষকরা জানান, আগে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের অ্যান্ট্রি পদে নারীদের জন্য উচ্চমাধ্যমিক ও পুরুষদের জন্য স্নাতক ডিগ্রি যোগ্যতা নির্ধারণ করা ছিল। এই পদে ৬০ শতাংশ শিক্ষকই আবার নারী। তাই নারী শিক্ষকের বড় অংশই উচ্চমাধ্যমিক পাস করে এই চাকরিতে আসেন। পরে অনেকে ডিগ্রি ও মাস্টার্স করেন।
সহকারী শিক্ষকদের নতুন নিয়োগ বিধি-২০১৯ অনুযায়ী, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রি। তাই স্নাতক হয়েও অনেক নারী শিক্ষক সরকারি কাগজে-কলমে এখনও উচ্চমাধ্যমিক পাস। এ কারণে সম্প্রতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের জাতীয় বেতন স্কেলের ১৩তম গ্রেডে উন্নীত করা হলেও এই শিক্ষকরা সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন