অবসাদ, মানসিক অস্থিরতা এবং অনিদ্রার কারণ স্মার্টফোন
আমাদের নতুন প্রজন্ম স্মার্ট ফোনের নেশায় বুঁদ হয়ে পড়েছে। নতুন আবিষ্কার মানুষের যেমন ভালও করে, তেমন অভিশাপ নামিয়ে আনচ্ছে। সম্প্রতি একদল গবেষকের দাবি, দীর্ঘ সময় ধরে স্মার্টফোনের ব্যবহার করলে মানসিক অবসাদ, মানসিক অস্থিরতা এবং অনিদ্রার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
দক্ষিণ কোরিয়ার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, এই তিনটি রোগের মধ্যে একটির কবলে পড়লেই হানা দিতে পারে অন্যান্য সব মারণ রোগ। তাই সময় এসেছে সাবধান হওয়ার। স্মার্টফোনের নেশার কারণে শরীরের কী কী ক্ষতি হতে পারে,
১। মোবাইল ফোন ব্যবহার করার সময় আমাদের শরীরের সঠিক পজিশনে থাকে না। বিশেষত পিঠ। দীর্ঘক্ষণ মোবাইলে সময় কাটানের জন্য পিঠের পেশীর কর্মক্ষমতা কমতে শুরু করে। এর ফলে শুরু হয় পিঠের ব্যথা সহ নানা সমস্যা দেখা যায়।
২। স্মার্ট ফোন আমাদের শরীরের বিরূপ প্রভাবের পাশাপাশি মস্তিষ্কের একাধিক নার্ভের ক্ষতি করে থাকে। যে কারণে মারাত্মক মাথা যন্ত্রণা এবং মাইগ্রেনের মতো সমস্যা মাথা চাড়া দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর প্রভাবে মস্তিষ্কের নানা রোগ হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়।
৩। নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা সমীক্ষা করে দেখেছেন, মোবাইল বেশি ব্যবহার করার ফলে মানসিক অবসাদ ধীরে ধীরে গ্রাস করে। সেই সঙ্গে আনসিক অস্থিরতার মত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।
৪। মোবাইল ফোন বেশি ব্যবহারে শরীরের আরও একটি মারাত্মক ক্ষতি হয়। আর সেটি হলো ঘুম কমতে শুরু করে। এর জেরে মস্তিষ্ক এবং শরীর ঠিক মতো বিশ্রাম পায় না। ফলে অনিদ্রার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়।
৫। অ্যারিজোনা ইউনির্ভাসিটির বিশেষজ্ঞদের করা এক সমীক্ষায় দেখা গেছে টয়লেট সিটের থেকে প্রায় ১০ গুণ বেশি ব্যাকটেরিয়া থাকে মোবাইল ফোনে। এর থেকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মাধ্যমে রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন