অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে বিশ্বভারতীর জমি দখলের অভিযোগ
প্রখ্যাত নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি দখলের অভিযোগ ঘিরে তুমুল রাজনৈতিক বির্তক শুরু হয়েছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর জমি দখলের নোটিশ পাঠায় অমর্ত্য সেনকে। এতে বলা হয়েছে, অমর্ত্য সেনের বাড়ি প্রতীচি’র মাঝে বিশ্বভারতীর ১৩ ডিসেবল জমি রয়েছে। অমর্ত্য সেনের প্রকৃত জমির পরিমান ১২৫ ডিসেবল। কিন্তু তার দখলে রয়েছে ১৩৮ ডিসেবল জমি।
এ ব্যাপারে মুখ খুলেছেন খোদ অমর্ত্য সেনও। বলেছেন, ‘বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কোনদিন আমায় এমন কথা আগে জানায়নি।’
তবে কলকাতার গণমাধ্যম বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বরাতে জানিয়েছে, এর আগে এই ইস্যু নিয়ে বেশ কয়েকবার মৌখিকভাবে নোবেল জয়ীকে অবগত করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি কোন প্রতিক্রিয়া জানাননি।
শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে কলকাতার একটি টেলিভিশন চ্যানেলে টেলিফোনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অমর্ত্য সেন বলেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে আইনি লড়াইয়ে যাচ্ছেন।
এ অবস্থায় চিঠি লিখে নোবেল জয়ীর পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার অভিযোগ, বিজেপি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেও রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে।
মমতা নবান্নে তার নিয়মিত সাংবাদিক বৈঠকে বিষয়টি আলোচনায় আনেন। বলেন, ‘বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় সরকারের বিশ্ববিদ্যালয়। অমর্ত্য সেন বিজেপির মতাদর্শ-এর বিরুদ্ধে কথা বলেন তাই এটা বিশ্বভারতীকে দিয়ে করানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে পাল্টা কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি। রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘তিনি একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে কথা বলেন। এভাবে পক্ষপাত করলে মানুষের মধ্যে এমন ভাবনাও আসবে যে নোবেল পুরস্কার ভুল লোককে দেওয়া হয়েছে।’
আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে নোবেল বিজয়ীর বিরুদ্ধে শান্তিনিকেতনের জমি দখলের অভিযোগ ঘিরে তুমুল রাজনৈতিক বির্তক দানা বেঁধেছে মমতার বাংলায়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন