অস্ত্র হাতে যুদ্ধের মাঠে ইউক্রেনের সেরা সুন্দরী

ইউক্রেনে এই মুহূর্তে পুরোদমে চলছে রুশ আগ্রাসন। বিপন্ন মাতৃভূমি। জনগণকে অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির নেতা। সেই নির্দেশেই রুশ হামলা রুখতে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি অস্ত্র হাতে তুলে নিচ্ছে নানা শ্রেণিপেশার মানুষ।

এরই ধারাবাহিকতায় এবার যুদ্ধের মাঠে নামলেন অ্যানাস্থেশিয়া লেনা নামে দেশটির এক সেরা সুন্দরী। এদিকে আরেক চমক দেখিয়েছেন স্কাই স্পোর্টস নিউজের এক সংবাদ উপস্থাপিকা।

রুশ হামলার প্রতিবাদে ও ইউক্রেনের সমর্থনে ইউক্রেনের পতাকার রঙ নীল ও হলুদের পোশাক পরেই শনিবার সংবাদ পড়েছেন হেলি ম্যাককুইন নামের উপস্থাপিকা।

মিস গ্র্যান্ড ইউক্রেনের খেতাব বিজেতা অ্যানাস্থেশিয়া লেনা। ২০১৫ সালে দেশের সেরা সুন্দরীর মর্যাদা অর্জন করেন। কিন্তু মাতৃভূমির সম্মান রক্ষার্থে হেলায় সেই তাজ খুলে ফেলেছেন। হাইহিল ছেড়ে পা গলিয়েছেন সামরিক জুতোয়। রুশ সেনার চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে বদ্ধপরিকর তিনি।

এই সুন্দরির একটি ছবি এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেনার পোশাকে দেশবাসীর প্রতি বার্তা দিয়ে অ্যানাস্থেশিয়া লেখেন, ‘ইউক্রেনের জন্য প্রার্থনা করুন। যুদ্ধ বন্ধ হোক।’

আরেকটি পোস্টে মজা করে অ্যানাস্থেশিয়া লিখেছেন, ‘আমাদের (ইউক্রেনের) সেনারা এমন বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করছে যে ন্যাটোর উচিত ইউক্রেনে প্রবেশের আগে আবেদন করে রাখা।’ গত কয়েক বছর ধরে নিছক কৌতূহলের বশেই বন্দুক চালনা শেখেন অ্যানাস্থেশিয়া লেনা। বর্তমানে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে, তার সেই তালিমকেই কাজে লাগাতে চান এই সুন্দরী।

ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ হামলায় লন্ডভন্ড ইউক্রেনের সমর্থনে দেশটির দুই রঙের সঙ্গে মিলিয়ে পোশাক পরে শনিবার অফিসে আসেন উপস্থাপিকা ম্যাককুইন। এমনকি ওই পোশাক পরেই সংবাদ উপস্থাপন করেন।

৪২ বছর বয়সি ম্যাককুইন ব্রিটেনের নাগরিক ও জাতিতে স্কটিশ। এদিন রুশ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ইউক্রেনীয় খেলোয়াড়দের বিষয়ে সংবাদ পড়ছিলেন তিনি। এ সময় হঠাৎই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন এবং একপর্যায়ে কেঁদে ফেলেন তিনি।

ইউক্রেনের পতাকার রঙের পোশাক পরার ব্যাপারে রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে ম্যাককুইন বলেন, ‘বহু বছর ধরে স্কাই স্পোর্টস নিউজে অনেক করুণ কাহিনীই আমি উপস্থাপন করেছি এবং গর্বের সঙ্গেই আমার পেশাজীবী মনোভাব ধরে রেখেছি।

কিন্তু গতকাল কিছু কারণে আমি আর নিজেকে ধরে রাখতে পারিনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু আমি একজন মা, তাই আমার

মনে হয়, পৃথিবীটাকে আমি একটু ভিন্নভাবে দেখি। আর নিশ্চিতভাবেই আমি বেশ আবেগপ্রবণ।’