আইইউটি’র গ্রাজুয়েটদের ইতিহাস থেকে অনুপ্রাণিত হওয়ার আহবান: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
মুসলিম উম্মাহর গৌরবময় ইতিহাস থেকে অনুপ্রেরণা নিতে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনলোজির (আইইউটি) গ্রাজুয়েটদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আইইউটি’র মূল উদ্দেশ্য হলো সদস্য দেশগুলোর মানবসম্পদ উন্নয়নে, বিশেষ করে প্রকৌশল, প্রযুক্তি এবং কারিগরি শিক্ষায় সহযোগিতা করা।
সোমবার (২৫ মে) গাজীপুরে আইইউটি এর ৩৪তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। মুসলমানদের গৌরবময় ইতিহাস স্মরণ করে ড. মোমেন বলেন, ইসলামের স্বর্ণযুগে বিজ্ঞান, শিল্প ও সাহিত্যে মুসলমান পণ্ডিতগণ আধুনিক সভ্যতার বিকাশে অবদান রেখেছেন। ইসলাম বিদ্বেষমূলক অপপ্রচারের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা (মুসলিমরা) সন্ত্রাসী নই। তিনি মুসলমানদের মর্যাদা ও সুনাম বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে নতুন প্রজন্মের প্রতি অনুরোধ জানান।
তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী নেতৃত্বেই বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে ওআইসিতে যোগদান করেছিল।
কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যেও একাডেমিক কার্যক্রম যথাযথভাবে সম্পন্ন করায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আইইউটি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ হতে আইইউটিকে সবধরনের অব্যাহত সহযোগিতার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।
আইইউটি’র এ সমাবর্তনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্নকারীদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেন এবং একাডেমিক ফলাফলে উৎকর্ষতার জন্য শিক্ষার্থীদের ওআইসি এবং আইইউটি মেডেল প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, আইইউটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ওআইসি’র প্রতিনিধিবৃন্দ, ডিপ্লোম্যাটিক কোরের সদস্যবৃন্দ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিথিবর্গ এবং আইইউটি’র শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন