আইএসের বিবিদের বয়ান
সিরিয়ার রাকা শহরের কাছে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীর হাতে এখন আটক আছেন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিদের বেশ কয়েকজন স্ত্রী। তাঁরা আইএসে যোগ দেওয়ার গল্প শুনিয়েছেন বিবিসিকে। একই সঙ্গে বলেছেন আইএসের অন্দরের কথা।
আইএসের কথিত খেলাফতের রাজধানী রাকা। শহরটি জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। আইএসবিরোধী লড়াইয়ে কুর্দিদের নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স (এসডিএফ) রাকার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তারা এই অভিযানে সাফল্যও পাচ্ছে।
এসডিএফের অভিযানের মুখে রাকা থেকে হাজারো মানুষ পালাচ্ছে। শহর ছেড়ে পালানো মানুষের ভিড়ে আইএস জঙ্গিদের স্ত্রী-সন্তানেরাও আছে। তাদেরই কয়েকজন এখন কুর্দি বাহিনীর জিম্মায় রয়েছে।
আইএসে কেন যোগ দিয়েছিলেন, কী ছিল মোহ? এর জবাবে এক জঙ্গির স্ত্রীর বলেন, ‘সিরিয়ায় সক্রিয় আইএসের ভিডিও দেখতাম আমরা। ওই সব ভিডিওতে ইসলামি গান থাকত। আইএসকে ইসলামি শরিয়া কার্যকর করতে দেখতাম। এসব দেখে ভালো লেগে যায়। রাকায় গিয়ে বসবাস করতে মন চায়।’ ওই নারী আরও বলেন, তাঁরা আইএসের যেসব ভিডিও দেখে উদ্বুদ্ধ হন, তাতে মানুষ হত্যার দৃশ্য খুব কমই ছিল। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। রাকায় গিয়ে আইএসের নৃশংসতা দেখতে পান।
আইএস জঙ্গিদের স্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ যুদ্ধে অংশ নিতেন। আইএসের নারী যোদ্ধাদের একটা পৃথক ব্রিগেড আছে বলে জানান তাঁরা।
রাকায় আইএসের অন্দরের বিবরণ দেন আইএসের আরেক যোদ্ধার স্ত্রী। তিনি বলেন, সেখানে একজন নেতা ধরনের নারী থাকতেন। তিনি অন্য সব নারীকে নির্যাতন করতেন। কেউ আইএসকে নিয়ে বাজে কথা বললে ওই নারী (নেতা) তাকে ধরে নিয়ে কারাগারে ঢোকাতেন। তাকে ‘চর’ হিসেবে চিহ্নিত করা হতো।
আরেক জঙ্গির স্ত্রী বলেন, ‘আমি মানুষ। আমি ভুল করেছি।’ যেসব মানুষ এখনো আইএসের সঙ্গে আছে, তাদের উদ্দেশে এই নারীর পরামর্শ, ‘তোমরা নিজেদের এখনই রক্ষা করো। তোমরা যদি আইএসের সঙ্গে থেকে মরো, তোমরা বেহেশতে যাবে না। তারা (আইএস) যা বলছে, তার কিছুই হবে না। তোমাদের জন্য কেবল দোজখই অপেক্ষা করছে।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন