আওয়ামীলীগের শাসন আমলে জামালপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ছিলো দূনীতির আখড়া

দূনীতিবাজা আওয়ামীলীগ সরকারে শাসন আমল ছিলো দূনীতিতে ভরপুর। সবচেয়ে দূনীতিগ্রস্থ বিভাগ ছিলো জামালপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে যে পরিমান দূনীতি হয়েছে যা ইতিহাসে রেকর্ড। আত্মসাত হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা।

এই বিভাগের ঠিকাদাররা নি¤œমানের কাজ করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে।

জনা যায় শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের কাজ হচ্ছে নতুন শিক্ষা ভবন নির্মাণ ও পুরাতন ভবন সংস্কার করা। আওয়ামীলীগ সরকার দেশের শাসন ভার নেওয়ার পর জামালপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে আওয়ামীলীগ পন্থি ঠিকাদারদের দৌরাত্ম্য কায়েম হয়। তারা তৈরি করে কাজ বাগিয়ে নেওয়ার সিন্ডিকেট।

এ সিন্ডিকেটের মূল হোতা ছিলো জেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা। এ শীর্ষ নেতারা শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগকে আওয়ামীলীগ শিক্ষা অধিদপ্তর তৈরি করে। তারা কায়েম করে অলিখিত শাসন। ঠিকাদাররা প্রতিটি কাজ করে অত্যন্ত নি¤œমানের। ছিলো না কোন কাজের তদারকি। তদারকি না থাকার কারণে অফিস সহায়ক থেকে শুরু করে নির্বাহী প্রকৌশলী পর্যন্ত চলতো টাকার খেলা।

টাকার খেলা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ায় ঠিকাদাররা প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাজ করে অত্যন্ত নিন্ম মানের। নিন্ম মানের কাজ করে অধিকাংশ ঠিকাদার রাতারাতি টাকার পাহাড় বানিয়ে ফেলেছে। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে জামালপুর শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রন করতো জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোঃ ফারুখ আহম্মেদ চৌধুরী। তার মেয়ের জামাই, ভাগ্নে আতিকুল ইসলাম বিজু সহ পরিবারের প্রায় সদস্য এই বিভাগ নিয়ন্ত্রণ করে অধিকাংশ স্কুলের নির্মাণ কাজ করতো।

নির্মাণ কাজের ক্ষেত্রে যে পরিমান রড, সিমেন্ট দেওয়ার কথা তা ব্যবহার করতো না। অত্যন্ত নিন্ম মানের কাজকরে অধিকাংশ ঠিকাদার টাকা তুলে ফেলে। এ ভাবেই চলতো জামালপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কার্যক্রম। এ ধরনের কার্যক্রম যাতে না হয় দূনীতি বিভাগের উচিত সব কাজ সরেজমিনে তদন্ত করা। তদন্ত করলেই সব রহস্য বের হয়ে আসবে।