আওয়ামী লীগ, বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী একাধিক

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর-পোরশা-সাপাহার) আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনয়ন পেতে একাধিক নেতার নাম শোনা গেলেও জাতীয় পার্টির একজনের নাম শোনা যাচ্ছে।

তারা মনোনয়ন পেতে ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ও লবিং ছাড়াও মাঠপর্যায়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা এবং গণসংযোগ করে চলছেন। এছাড়াও মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসাবে এলাকায় পোস্টারিং করেছেন অনেকে। বিভিন্ন সূত্রমতে, এ আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভব্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সরকারের খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

তিনি ছাড়াও একইদল থেকে যারা মনোনয়ন পাওয়ার জন্য চেষ্ঠা করবেন তারা হলেন- নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও চন্দননগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খালেকুজ্জামান(তোতা), নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য রেজাউল হাসান(রানা) এবং পোরশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন।

অপরদিকে বিএনপির সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরার হলেন এ আসনের তিন বারের নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য ও নিয়ামাতপুর উপেজলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা: ছালেক চৌধুরী, যুবদলের কেন্দ্রিয় সদস্য মাহমুদুস সালেহীন, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান এবং পোরশা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আহম্মেদ মোজাম্মেল হক শাহ্ চৌধুরী।

জাতীয় পার্টি থেকে পোরশা উপজেলা সভাপতি আকবর আলী (কালু) একক মনোনয়ন প্রার্থী ও ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনয়ন প্রার্থী হিসেবে মাও: ওমর আলী সরদার মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে জানাগেছে। বিগত ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে পরপর তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী সাধন চন্দ্র মজুমদার। ২০১৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি খাদ্যমন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপান।

নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ করেই যাচ্ছেন। সে হিসেবে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হিসাবে তিনি নিশ্চিত মনোনয়ন পেতে আশাবাদী। তারপরেও আসনটিতে নিজ দলীয় একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী থাকায় বর্তমান সংসদ সদস্য খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারকে কিছুটা হলেও মনোনয়ন পেতে কষ্ঠ সহ্য করতে হবে বলে অনেকে মনে করছেন। তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি এ আসনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সকল কার্যক্রম ইতোমধ্যে গুছিয়ে ফেলেছেন এবং সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কার্যক্রম প্রচারে উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ করছেন বলে দলীয় সূত্রে জানাগেছে।

এ আসনটিতে বিএনপির একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী থাকায় দলটির কেন্দ্রীয় কমিটি সঠিক সিদ্ধান্ত না নিতে পারলে অভ্যন্তরীন কোন্দলের শিকার হয়ে দলীয় প্রার্থীকে ভোটের রাজনীতিতে চরম মূল্য দিতে হতে পারে বলে স্থানীয় একাধিক শীর্ষ নেতার অভিমত। বর্তমানে কেন্দ্রীয় কমিটির দেয়া বিভিন্ন কর্মসূচি বিভক্ত হয়ে পালন করছে স্থানীয় বিএনপি। তারপরেও বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ইতোমধ্যে গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে গেলেও কেন্দ্র থেকে যাকে মনোনয়ন দেবে তিনিই হবেন এ আসনের প্রার্থী। আর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বর্তমান সংসদ সদস্য খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজমুদার আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হলে বিএনপি প্রার্থি কে হবেন এ নিয়ে দলটি কঠিন হিসাব-নিকাশ করতে হবে বলে অনেকে বলছেন।

অপরদিকে, জামায়াতের নিবন্ধন না থাকায় তাদের ভ‚মিকা কি হবে এ নিয়ে চলছে জল্পনা কল্পনা। তবে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ এবং জাতীয় পার্টির অবস্থান কি হবে নির্বাচন আরও ঘনিয়ে আসলে বুঝা যাবে এলাকায় দলগুলির ভোট রাজনীতি বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন।