আগাম জাতের আলুর ভালো ফলন ও দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার আগাম জাতের আলু আবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমান বাজারে চাহিদার সাথে আলুর দাম বেশি থাকায় কৃষকরা ব্যাপক লাভবান হচ্ছে। এখন দিনাজপুরের কাহারোল, চিরিরবন্দরসহ বিভিন্ন এলাকায় চলছে আগাম জাতের আলু তোলার ধুম। ফলন ভাল এবং বাজারে আলুর দাম বেশি থাকায় কৃষকরা খুশি। এখন আলু ক্ষেত থেকে পাইকাররা ৪৩ টাকা কেজি দরে আলু কিনে নিয়ে যাচ্ছে।
জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার কৃষক ময়ছার আলী বলেন, এবার আগাম জাতের আলু লাগিয়েছি দেড় বিঘা জমিতে। ৫৫ দিন পর ক্ষেত থেকে নুতন আলু তুলতে শুরু করেছি। আলুর ফলন ভালো হয়েছে। এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় কীটনাশক স্প্রে করতে হয়নি। দেড় বিঘা জমিতে আলুর উৎপাদন খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। আলু বিক্রি করার জন্য হাটে নিয়ে যেতে হচ্ছে না। পাইকাররা জমি থেকে আলু ৪৩ টাকা কেজিতে কিনে নিয়ে যাচ্ছে। দেড় বিঘা জমিতে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়েও প্রায় দুই লাখ টাকা লাভ হবে আশা করছি।
কাহারোলের কাজিকাঠনা গ্রামের মো. শরিফুল ইসলাম ৩০ শতক জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ করেন। আলু বিক্রি করে তিনি দাম পেয়েছেন ৮০ হাজার টাকা। খরচ বাদ দিয়ে তার লাভ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। সোমবার কাজি কাঠনা এলাকায় প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে জমি থেকে ৪৭ টাকায়।
একই এলাকার আলু চাষি সুকুমার রায় জানান, তার এক বিঘা জমিতে আলু চাষ করে ৫৫ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। এবার এক কেজি আলু জমি থেকে ৪৩ টাকা থেকে ৪৪ টাকা করে পাইকারি বিক্রি করছেন বলে জানান তিনি।
চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, আগাম জাতের আলু চাষিরা ৫৫ থেকে ৬০ দিনে ফসল উত্তোলনের পর আবার তারা ভুট্টা ও বোরো ধান লাগাবে। বাজারে আলুর দাম ভালো থাকায় আগাম জাতের আলু চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে।
দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, দিনাজপুর জেলায় ২০ হাজার ৫৯০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে আগাম জাতের আলু চাষ হয়েছে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে। এবার আগাম জাতের আলু হেক্টর প্রতি ফলন হয়েছে ১৭ মেট্রিক টন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন