আটকানো যাচ্ছে না ভারতকে

প্রথমে শিখর ধাওয়ান আর রোহিত শর্মার ৮৭ রানের জুটি। সেটি হতাশার মধ্যে থেকেও ভাঙলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। কিন্তু অন্য বোলাররা কি করছেন? কিছু করতে পারছেন না বলেই তো ভারতকে এজবাস্টনের সেমি-ফাইনালে আটকানো যাচ্ছে না। শিখর ৪৬ রানে ফিরেছেন। কিন্তু দুই ইনফর্ম ব্যাটসম্যান রোহিত আর অধিনায়ক বিরাট কোহলি মিলে বাংলাদেশের দেওয়া ২৬৫ রানের লক্ষ্যটাকে বেশ ছোটো বানিয়ে ফেলেছেন! শিখরের পর রোহিত নেতা কোহলিকে নিয়েও শত রান ছুইঁ ছুই জুটি বানিয়ে ফেললেন। এই প্রতিবেদর লেখার সময় ভারতের সংগ্রহ ২৮ ওভারে ১ উইকেটে ১৭৭ রান। কোহলি ৪৫ রানে ব্যাট করছেন। সেঞ্চুরির সুবাস পাচ্ছেন রোহিত। তিনি ব্যাট করছেন ৮৬ রানে।

মাশরাফি ব্যাট হাতে শেষে লড়ার মতো একটা স্কোর দিয়ে এসেছেন দলকে। কিন্তু বোলারদের তো সেটি ডিফেন্ড করতে হবে। যে কাটার মাস্টার ২০১৫ সালে ভারতকে সিরিজ হারানোয় প্রধান ভূমিকা রাখলেন, সেই মোস্তাফিজুর রহমানের কাটার কোথায় হারালো! নতুন বলে তাকেও ৫ ওভারে মেরে ৪২ রান তুলে নেন রোহিত-শিখররা। ওয়ানডে ছেড়ে টি-টুয়েন্টি মেজাজে খেলে চলছিলেন শিখর। ১৫তম ওভারে তাকে মাশরাফি বানিয়েছেন মোসাদ্দেকের ক্যাচ।

ওখানে কিছুটা স্বস্তি। কিন্তু তাসকিন আহমেদ আগের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে কাঁপালেও এই ম্যাচে সেভাবে কিছু করতে পারছেন না। রুবেল হোসেনের আগ্রাসণও ভারতের ব্যাটিংয়ের সামনে গিয়ে ধাক্কা খেয়ে ফিরে আসে। পাল্টা আক্রমণে রুবেল হতে থাকেন কোণঠাসা। সাকিব আল হাসানের মতো বিশ্বমানের স্পিনার এই টুর্নামেন্টে কতোটা ম্রিয়মান তা আরো একবার প্রমাণিত। ৩ ওভারে এমন ম্যাচে ২২ রান দিলে অধিনায়ক তো তাকে বল দেওয়ার আগে আরো একবার ভাববেন। আগের ম্যাচে জুয়া খেলে সফল মাশরাফি। ৩ ওভারে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে অফ স্পিনে ভেলকি দেখিয়েছিলেন মোসাদ্দেক। কিন্তু কোহলি-রোহিতদের সামনে তার জাদুর কিছু মেলেনি অন্তত প্রথম ২ ওভারে। সব বোলারই যখন এই অবস্থায় একমাত্র মাশরাফি ছাড়া, তখন বড় হারের শঙ্কা ভারতের ইনিংসের মাঝপথে তাড়া করতে শুরু করে। মাশরাফি কেবল ৮ ওভারে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২৯ রান দিয়ে সফল বোলার। অধিনায়ক আর কি করতে পারেন?