‘আত্মহত্যার খবরটি মিথ্যা’

‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ মুকুট হারানোর পর জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল আত্মহত্যা করেছেন এমন একটি খবর ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। ২৯ সেপ্টেম্বর ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’-এর বিজয়ী মুকুট মাথায় পরেছিলেন চট্টগ্রামের মেয়ে এভ্রিল। কিন্তু সেরা নির্বাচন নিয়ে বিচারকদের অভিযোগ আর প্রতিযোগিতায় প্রধান শর্ত ভঙ্গের কারণে বাতিল করা হয় তার ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ খেতাব।

এ বিষয়ে জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল গণমাধ্যমকে জানান, কোনো একটি সংবাদ মাধ্যম নাকি লিখেছে আমি আত্মহত্যা করেছি। খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, আমি সুস্থ আছি। খুবই ভালো আছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন ভালো থাকতে পারি। জীবনের লড়াইটা যেন চালিয়ে যেতে পারি।

তিনি আরো বলেন, কেন এমন খবর প্রকাশ করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হয়? সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার অনুরোধ করছি। মানুষের ভালোবাসা নিয়ে সামনে আরো ভালো কিছু করতে চাই।

জানা গেছে, একটি সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ হয় বুধবার রাতে ঘুমের ঔষধ খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন এভ্রিল। পরে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালটির জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তা সাগুফা আনোয়ারের বক্তব্য দিয়ে খবরটি প্রকাশ করা হয়।

২৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের নবরাত্রি হলে জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের নাম ঘোষণা করা হয়। সেদিন মঞ্চে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ জান্নাতুল সুমাইয়ার নাম ঘোষণা করেন উপস্থাপক শিনা চৌহান। এরপর আয়োজকের পক্ষ থেকে অন্তর শোবিজের চেয়ারম্যান স্বপন চৌধুরী মঞ্চে এসে জান্নাতুল নাঈমের নাম ঘোষণা করেন।

পরে পুরো বিষয়টি নিয়ে বিচারক আর দর্শকেরা আয়োজকদের ভূমিকার সমালোচনা করেন। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চ্যাম্পিয়ন জান্নাতুল নাঈমকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়। জান্নাতুল নাঈম এভ্রিলের মাথায় মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়নের মুকুট দেওয়াটা আয়োজকরা ‘ভুল’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

এরপর বুধবার (৪ অক্টোবর) জান্নাতুল নাঈম এভ্রিলকে অযোগ্য ঘোষণা করে মিস ওয়ার্ল্ডের আন্তর্জাতিক কমিটি। তাই ২০১৭ সালের মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন জেসিয়া ইসলাম। ১৮ নভেম্বর চীনের সানাইয়া শহরে অনুষ্ঠেয় ৬৭তম মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে অংশ তিনি।