আন্দোলনরত শ্রমিকদের গুলি করে হত্যা অমানবিক ধৃষ্টতা : কৃষক-শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে বেতন-ভাতার দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভে গুলিবর্ষণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়ে প্রকৃত দায়ি ব্যাক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছে জাতীয় কৃষক-শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনের আহ্বায়ক এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা ও সমন্বয়ক কৃষক মো. মহসিন ভুইয়া।
শনিবার (১৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তারা এ দাবী জানান।
তারা বলেন, যে অস্ত্র আর গুলি দেশকে বহি:শত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য কেনা হয়েছে সেই অস্ত্র আর গুলি পবিত্র রমজানে চালানো হচ্ছে আমার দেশের গরীব দঃখী আর মেহনতী মানুষের বুকে। যারা পেটের ক্ষিদা মিটানোর জন্য বেত-ভাতার আন্দোলন করেছে। যা অত্যান্ত দু:খজনক।
নেতৃত্রয় বলেন, মহামারী করোনা কালে লকডাউনের মধ্যে সাধারন শ্রমজীবী মানুষের পেটে যখন ক্ষিদা তখন তাদের গুলি করে হত্যা করে সেই ক্ষিদা চিরতরে মিটিয়ে দেয়া কি রাষ্ট্রের ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর দায়িত্ব ? গুলি করে হত্যা করে কি জনগনের পেটের ক্ষেদা মিটানো সম্ভব ? পেটের ক্ষিদা মিটাতে না পারলেও লকডাউন আর রোজার মধ্যেই বুকের রক্ত নিয়ে কালো অধ্যায়ের সূচনা হলো।
তারা চট্টগ্রামের বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্রে বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণে শ্রমিকের মৃত্যু এবং ৩০ জনের বেশি শ্রমিক আহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রকাশ করে পুলিশের গুলিতে নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ, আহতদের চিকিৎসা, গ্রেফতারদের হয়রানি বন্ধ এবং ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং দায়ীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে। পাশাপাশি, তারা শ্রমিকদের পাওনা অবিলম্বে পরিশোধের দাবি জানান।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন